vpn


সম্প্রতি  ভিপিএন পরিষেবা বন্ধ করার জন্য আবেদন জানিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। ভিপিএন হল – ভার্চুয়াল প্রাহভেট নেটওয়ার্ক (VPN). যার সাহেয্যে অ্যানোনিমাস বা নামপরিচয়হীন অবস্থায় ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়। এক কথায় ইন্টারনেট ব্যবহারকারী কোনো ব্যক্তি বা সংস্থার নিজস্ব গোপনীয়তা বজায় রাখতেই ভিপিএনের সাহায্য নেওয়া হয়।

VoiceBharat News images 57

যেটি অন্তর্জালের মতো ওপেন জায়গাতেও ব্যবহারকারীকে সুরক্ষিত রাখতে পারে। তাহলে কেন এই গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত?
সংসদীয় স্থায়ী কমিটি জানাচ্ছে এই পরিষেবার ফলে বেড়ে যাচ্ছে অসামাজিক কার্যকলাপ। ভিপিএন এর সাহায্যে ‘পাবজি’র মতো ভারতে নিষিদ্ধ ওয়েবসাইট বা আরও অনেক নিষিদ্ধ পর্ণোগ্রাফিক ওয়েবসাইটে ঢুকে পড়ছে ব্যবহারকারীরা।

VoiceBharat News images 3

ডার্কওয়েবে ঢুকতে পারার ফলে সাইবার নিরাপত্তার বাধাবেষ্টনি সহজেই এড়িয়ে যাওয়া সহজ হয়ে উঠছে। এর ফলে ভবিষ্যতে আরও বড়সড় অপরাধও সংঘটিত হতে পারে।
কথাগুলি সঠিক হলেও একপেশে। কেননা ওই ভিপিএন এর সাহায্য নিয়েই বহু গুরুত্বপূর্ণ কাজও তো করা হয়! যেমন কর্পোরেট সেক্টরের ক্ষেত্রে। লকডাউন চলাকালীন অনেক কর্পোরেট সংস্থার কর্মীরাই বাড়ি থেকে কাজ করেছেন। এক্ষেত্রে ভিপিএন ব্যবহার না করলে মূল্যবান ডেটাবেস বা পাসওয়ার্ড এর মতো গোপন তথ্য হ্যাকারদের কাছে ফাঁস হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা।

VoiceBharat News images 58


ভিপিএনের আসল কাজই হল ‘এনক্রিপশন ‘। যার ফলে ইন্টারনেটে হ্যাকারদের পাতা জাল থেকে মাধ্যম ব্যবহারকারীরা  দূরত্ব বজায় রাখতে পারেন। ভিপিএন ব্যবহারের ফলে থার্ড পার্টি ওয়েবসাইট, ট্র্যাকার, স্পাইওয়্যারের পক্ষেও পরিচয় বা তথ্য গোপন রাখা সম্ভব হয়। তাই সাইবার অপরাধ দমনে ভিপিএন পরিষেবা বন্ধ করা মানে ক্ষত সারাতে মাথা উড়িয়ে দেওয়ার মতোই মনে হয়। যদিও বা সেটাই করতে হয় তাহলে বিকল্প ব্যবস্থার দিকটাও ভেবে দেখার প্রয়োজনীয়তা আছে।

By Partha Roy Chowdhury (কিঞ্জল রায়চৌধুরী)

Partha Roy Chowdhury (Bengali: কিঞ্জল রায়চৌধুরী) is staff journalist VoiceBharat News. email: kinjol@voicebharat.com