VoiceBharat News IMG 20210628 195132 300x163 1

উপনির্বাচনের প্রচারের মুখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তালুকে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হলো বামেদের। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ালেন সিপিএম নেতা সুজন চত্রবর্তী। জখম হলেন দু’জন বাম সমর্থক এবং পাঁচ জনকে যেতে দিতে পুলিশ রাজি হলো ফলে হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের বাড়ি বাড়ি প্রচার করলেন সুজনবাবুরা।

এর আগে এলাকায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে পুলিশ ঢুকতে বাধা দেন এবং তাতে বিতর্ক বেধেছিল।

মমতা

মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির পথে সিপিএম প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাসকে প্রচার করার অনুমতি দেওয়া হবে না বলে শনিবার জানিয়েছিল পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে যান সিপিএম নেতারা। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয় , বিধি মেনে প্রচার করা যেতে পারে। কিন্তু রবিবার সুজনবাবু রা ওই রাস্তার মুখে যেতে বাধা দেয় পুলিশ। পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে সুজনবাবুর বচসা শুরুতে ব্যারিকেড ফেলে দিয়ে এগোনোর চেষ্টা করেন বাম কর্মী-সমর্থকেরা। উত্তেজনা চলে বেশ কিছু ক্ষণ। প্রার্থী শ্রীজীবকে ধাক্কা মারা হয় বলে অভিযোগ। গোলমালের পরে পাঁচ জনকে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। এরপর প্রার্থী, নির্বাচনী এজেন্টকে নিয়ে বলরাম বসু ঘাট রোড এলাকায় প্রচার চালায় বামেরা। তণমূল কংগ্রেস নেতা তাপস রায় কটাক্ষ করেছেন, ”সুজনবাবু আত্মপ্রচার করতে গিয়েছিলেন! তাই হাই সিকিউরিটি জ়োনে ঢুকেছিলেন।”

সুজনবাবু বলেন, ”মুখ্যমন্ত্রী ভবানীপুর কেন্দ্রের ভোটার। সেই হিসেবে তাঁর কাছে ভোট চাওয়ার অধিকার আছে। কিন্তু তাঁর বাড়িতে যাওয়া , উত্‍পাত করার পরিকল্পনা আমাদের ছিল না। পরে ওই রাস্তার অন্যান্য বাড়িতে প্রচার করেছি।” পুলিশ সূত্রের বক্তব্য, বামেরা বেশি লোকজন নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। সেখান থেকে সমস্যা হলে পরে তাঁদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সিপিএম প্রার্থী শ্রীজীব কমিশনে অভিযোগ করেন , ভবানীপুরে পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকা নিরপেক্ষ নয়।

চেতলার অম্বেডকর কলোনিতে এ দিন বিজেপি সাংসদ মনোজ তিওয়ারির সঙ্গে বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রচার করলেন প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল। সেই সময় তৃণমূলের পতাকা হাতে নিয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে তাঁকে বিক্ষোভ দেখানো হয়। রাজ্য রাজনীতি এরফলে যে উত্তাল তা বলা যায় ।