সংসদের জরুরি অধিবেশনে অনুপস্থিত মিমি চক্রবর্তী ও নুসরত জাহান। দুই তারকা সাংসদকে শোকজ নোটিশ পাঠালো তৃণমূল কংগ্রেস। কী কারণে তাঁরা অনুপস্থিত, তার কারণ দর্শাতে হবে। নাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে , এমনটাই জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সংসদের প্রতিনিধি।
সর্বভারতীয় রাজনীতিতে দলকে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে দলের অভ্যন্তরে নানাবিধ কর্মসূচির তৈরি করছে তৃণমূল। শীতের শুরুতে সংসদের এই অধিবেশন তাই দলের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর সেই অধিবেশনেই উপস্থিত নেই তৃণমূল সাংসদ দুই অভিনেত্রী নুসরত জাহান ও মিমি চক্রবর্তী।
এমনকি সাংসদদের সাময়িক বহিষ্কারের প্রতিবাদে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দল যে বিক্ষোভ কর্মসূচি আয়োজন করেছিল, সেখানেও হাজির ছিলেননা দুই তারকা সাংসদ নুসরত ও মিমি। তাদের এই আচরণকে ভালো চোখে নিচ্ছেননা দলের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তারকা বলেই আলাদা করে কোনও বাড়তি সুবিধা পাবেন মনে করাই ভুল। প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর পদক্ষেপ নেবে তৃণমূল কংগ্রেস।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংসদের প্রতিনিধির মতে, টলিউডের দুই অভিনেত্রী সাংসদের কাজকর্মে দল একেবারেই খুশি নয়। সাংসদদের বৈঠকেই এর আগে কড়া নিয়ম বেঁধে দেওয়া সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় কর্মসূচিতে অনুপস্থিত থাকছেন দুই তারকা। শোধরাতে সময় দেওয়া হচ্ছে। এই শোকজ নোটিশ তারই প্রথম পদক্ষেপ। যথাযথ উত্তর না পেলে মিমি ও নুসরতকে সাসপেন্ডও করা হতে পারে। এই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে ব্যাপক জল্পনা।
জানা গেছে, এই মূহুর্তে শ্যুটিংয়ের প্রয়োজনে মিমি চক্রবর্তী রাজস্থানে রয়েছেন, তাই তিনি আসতে পারেননি। তবে নুসরতের অনুপস্থিতির কারণ সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, আগের এক বৈঠকেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলের পক্ষ থেকে নিয়ম জারি করেছিলেন — সংসদের জরুরি বৈঠকে ৯৭ শতাংশ উপস্থিতি থাকতেই হবে। এর জন্য সংসদের অ্যাটেনডেন্স রেজিস্টারে সইও থাকতে হবে। এই নিয়ম জারি হওয়া সত্ত্বেও সংসদীয় অধিবেশনকে হাল্কাভাবে নিচ্ছেন নুসরত ও মিমি। এ বিষয়ে দলের তীক্ষ্ণ নজর রয়েছে তাঁদের ওপর। অবিলম্বে এই ভুলগুলো শুধরে না নিলে সাসপেন্ডেড হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। ঘাসফুল শিবিরের সূত্র মারফত এমনটাই জানা গিয়েছে।