নরেন্দ্র মোদী সরকার দেশে মোট ১০০ কোটি টিকাকরণ হয়েছে এমনই দাবী করেছেন। সেই দাবিকে ‘জুমলা’ বলে কটাক্ষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী । শিলিগুড়ির সভায় রবিবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন ১০০ কোটি টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে। দেশের মোট জনসংখ্যা ১৩০ কোটি।প্রত্যেককে দু’টি করে টিকা দেওয়া হয়েছে।স্বাভাবিক এটাই যে এখনও পর্যন্ত দেশের ২৯ কোটি ৫২ লক্ষ মানুষ দু’টি টিকা পেয়েছেন।একটাও টিকা পাননি এমন অনেকে আছেন। সেই সব মানুষকে টিকাকরণের ব্যবস্থা না করে কৃতিত্বের দাবী করছে প্রধানমন্ত্রী।কি করে দাবী করছেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রীর আরও কিছু প্রশ্ন,এখনও ১৮ বছরের নীচে টিকাকরণ শুরুই হয়নি। কী ভাবে দেশের সর্বস্তরের মানুষ টিকা পেলেন তবে?সভায় কত জন কোভিশিল্ড আর কতজন কোভ্যাক্সিন নিয়েছেন, তা জানতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন,এ ক্ষেত্রে একটি কেলেঙ্কারি হয়ে রয়েছে।কোভ্যাক্সিন প্রধানমন্ত্রী নিয়েও প্রধানমন্ত্রী আমেরিকা ঘুরে এলেন। কোভ্যাক্সিন নিয়ে ছাত্রছাত্রীরা পড়াশুনোর জন্য বাইরে যেতে পারছেন না কেন তাহলে? কেন কেউ চিকিৎসা করাতে বাইরে যেতে পারছেন না?মুখ্যমন্ত্রী তিনি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে বলেছেন, কোভ্যাক্সিন যাঁরা নিয়েছেন, তাঁরাও যেন অন্য দেশে যাওয়ার সুযোগ পান।টিকা বণ্টনেও পশ্চিমবঙ্গকে কেন্দ্রীয় সরকার বঞ্চিত করেছে বলেও অভিযোগ করেন মমতা।তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে সাত কোটি টিকা দেওয়া হয়েছে। বলা হচ্ছে, রাজ্য টিকাকরণে তিন নম্বরে। মহারাষ্ট্র ও উত্তরপ্রদেশকে অনেক বেশি টিকা দেওয়া হয়েছে বলেই তারা এগিয়ে আছে।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ঘোষণা করেছে, বিএসএফ এবার ৫০ কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত নজরদারি করতে পারবে।
মমতা বলেন, তিনি বিএসএফের বিরুদ্ধে নয়। কিন্তু বিভেদের ভাবনা নিয়ে যে সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, তা মোটেও ভালো নয়। আমদের প্রতিবেশী রাজ্যের সঙ্গে সম্পর্ক মধুর।বৈষম্য করছেন প্রধানমন্ত্রী।এটি ঠিক নয়।