যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্যের ক্ষেত্রে চমকপ্রদ সিদ্ধান্ত নিল ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষ। দূরপাল্লার ট্রেনে এরপর থেকে তুলে দেওয়া হতে চলেছে সাধারণ কামরা। তার বদলে সমস্ত কামরাই এসি করা হবে। যার ফলে দীর্ঘ দূরত্বের যাত্রাকালে অনেক আরামে ভ্রমণ করতে পারবেন সমস্ত যাত্রী। শুনে হয়তো প্রথমেই ভাড়ার কথা ভেবে ভুরু কুঁচকে যাচ্ছে অনেকেরই ; কিন্তু না, এই পরিকল্পনার সময়ে অবশ্যই ভাড়ার ব্যাপারটাও চিন্তা করা হয়েছে।
নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী দূরপাল্লার ট্রেনগুলোতে ‘জেনারেল’ কামরা বলে আলাদা করে আর কিছু থাকবেনা। সেই জায়গায় পরিবর্তিত কামরাগুলোই এয়ার কন্ডিশনড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই বেশকিছু ট্রেনের সাধারণ বগিগুলোয় এসি বসানোর কাজও শুরু হয়ে গেছে বলেই জানা যাচ্ছে। পাঞ্জাবের কপুরথালায় এই ট্রেনবগি রূপান্তরের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
নতুন নির্মিত এইসব ট্রেনকামরায় দরজা হবে যন্ত্রচালিত অর্থাৎ অটোমেটিক। ১০০ থেকে ২০০ জন যাত্রীর বসার ব্যবস্থা রাখা হবে। এই এসি কামরাগুলোয় জার্নি হবে আরামদায়ক, স্বচ্ছন্দ। সাধারণ কামরার মতো ঠেসাঠেসি ভিড়ও আর থাকবেনা। এয়ার কন্ডিশনড হলেও জেনারেল কামরায় সফরকারী যাত্রীদের আর্থিক দিক চিন্তা করে ট্রেনের ভাড়া যতটা সম্ভব কম রাখার চিন্তাভাবনা করছে ভারতীয় রেল।
উল্লেখ্য, এই মূহুর্তে দুরন্ত, রাজধানী, শতাব্দী এক্সপ্রেসের মতো কিছু ট্রেন বাদে প্রায় সমস্ত ট্রেনেই সেকেন্ডে ক্লাস কামরা রয়েছে। এইসব ট্রেনগুলোর নতুন এসি কামরা নির্মাণের ক্ষেত্রে এই সেকেন্ড ক্লাস কামরাগুলোরই বদল করা হবে। অর্থাৎ সেকেন্ড ক্লাস কামরার বদলে জায়গা নেবে উন্নত শ্রেণীর নতুন আঙ্গিকের সাধারণ এসি কামরা।
ভারতীয় রেলের এই পরিকল্পনা কার্যকর হলে সাধ্যমত ভাড়া দিয়ে নিশ্চিন্তে ভ্রমণ করতে পারবেন দূরপাল্লার সাধারণ যাত্রীরা, এমনটা মনে করাই যায়।