৩০ অক্টোবর শান্তিপুরে উপনির্বাচন। সেই উপলক্ষ্যেই আয়োজন করা হয়েছিল প্রচারসভা। বিরাট মাঠে সারি সারি চেয়ার। নন্দীগ্রামের মাটি কাঁপানো নেতা স্বয়ং শুভেন্দু অধীকারী আসবেন। শুভেন্দু এলেন, চেয়ার ভরলনা। ফাঁকা মাঠে ফাঁকা আওয়াজ করেই চলে যেতে হল, স্থানীয় সূত্র তাই বলছে।
এদিন শান্তিপুরের বিজেপী প্রার্থী নীলাঞ্জনা বিশ্বাসের সমর্থনে এক বিরাট জনসভার আয়োজন করা হয়। শুভেন্দু অধিকারী যখন মঞ্চে বলতে ওঠেন তখনও সারি সারি চেয়ার ফাঁকা, এমনকি সামনের সারিও পুরোপুরি ভরলনা। লোক না হওয়া নিয়ে এক সংবাদ মাধ্যম প্রশ্ন করায় চটে ফায়ার হয়ে গেলেন বিজেপির প্রতাপশালী নেতা।
এর আগে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারের সময়ে ওই একই জায়গায় বিজেপির জনসভায় লোক ভর্তি থাকতো। আজকের পরিবর্তিত ছবিই প্রমাণ করছে বিজেপির থেক মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছে শান্তিপুরের মানুষ। “সভা এত ফাঁকা কেন?” প্রশ্ন করতেই এক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিকে প্রকাশ্যে “চটি চাটা সাংবাদিক” বলে ন্যক্কারজনক আক্রমণ করে বসলেন শুভেন্দু অধিকারী।
প্রসঙ্গ ঘোরাতে এরপর কিছুটা সাফাই দেওয়ার ঢঙেই শুভেন্দু প্রকাশ্যে বলেন, “কোভিড বিধি মেনে এক হাজারের বেশি মানুষ নিয়ে জনসভা করা যায়না। এই সভায় এক হাজারের বেশি মানুষ ছিল”।
শুভেন্দুর এই “কোভিড বিধি মেনে” সভা করার সাফাইটা অনেকেই ঠিক হজম করতে পারছেননা। নিজেই বলছেন এক হাজারের বেশি লোক নিয়ে সভা করা যায়না, পরক্ষণেই বলছেন এক হাজারের বেশি মানুষ ছিল! এদিকে চেয়ার যে ফাঁকা! আর যদি কোভিড বিধিই মানতে হয়, তবে এত চেয়ার রাখাই বা হয়েছিল কেন? প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে আসলে কী বলতে চান সেটা গুলিয়ে যাওয়ার ফলেই সাংবাদিকদের ওপর মেজাজ হারিয়ে বসেছেন বলেই অনেকে মনে করছেন।
প্রসঙ্গত, এই একই দিনে শান্তিপুরে তৃণমূলের প্রার্থীর হয়ে প্রচারে এসেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী যে এত অহঙ্কার নিয়ে কথা বলছে তা থেকেই পরিস্কার, শীঘ্রই রাজ্য থেকে সাফ হয়ে যাবে বিজেপি। একমাত্র মমতা ব্যানার্জীই দলমত নির্বিশেষে মানুষকে একসাথে নিয়ে চলতে পারেন। ধর্ম নিয়ে যারা রাজনীতি করে তাদেরকে মানুষ বাতিল করবে”।