কদিন ধরে প্রচার চলার সময় একাধিকবার বিড়ম্বনায় পড়েছেন বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেয়াল। কখনও তাকে দেখে মমতার নামে শ্লোগান, কখনও পুলিশ রক্ষীর ছদ্মবেশে তৃণমূল কর্মীদের মিশে গিয়ে সব ভন্ডুল করার চেষ্টা। এই রবিবার শেষ দিনের প্রচারেও তার ব্যতিক্রম হলনা।
চেতলার আম্বেদকর কলোনীতে প্রচার ছিল আজ। উত্তর পূর্ব দিল্লীর বিজেপি সাংসদ মনোজ তিওয়ারীকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি বাড়ি ভোট চাইতে গেছিলেন প্রিয়াঙ্কা। কিন্তু এলাকার বাসিন্দারা তৃণমূলের পতাকা দেখিয়ে তাদের ফিরিয়ে দেন। ঘটনায় যারপরনাই অস্বস্ততে পড়েছেন প্রিয়াঙ্কা ও মনোজ সহ বিজেপি কর্মীরা।
অন্যদিকে নর্দান পার্কে আজ সকালেই প্রিয়াঙ্কার সমর্থনে প্রচার চালাচ্ছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার। প্রচার চলাকালীন এক তৃণমূল সমর্থকের মুখোমুখি পড়ে যান তিনি। সৌজন্য দেখিয়ে প্রিয়াঙ্কাকে ভোট দেওয়ার কথা বলতেই খেপে ওঠেন ওই ব্যক্তি ।
ভোটে প্রিয়াঙ্কাকে জয়ী করার আবেদনের সপক্ষে বলতে গিয়ে “দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ার কথা” বলতেই ওই ব্যক্তি পাল্টা উত্তর ছোঁড়েন, “যেসব রাজ্যে বিজেপি আছে, সেই রাজ্যগুলোর তুলনায় বাংলায় দুর্নীতির হার অনেক কম। এটা আপনাদের কেন্দ্রীয় সরকারের পরিসংখ্যানই বলছে”।
প্রকাশ্যে এই সমালোচনা শুনে বিপাকে পড়ে যান সুভাষ সরকার। আশেপাশের সমস্ত লোকজনকে শুনিয়ে ভদ্রলোক সোচ্চারে বলতে থাকেন,”আমি মমতা ব্যানার্জীর সমর্থক। ওনাকেই ভোট দেবো”।
এমনকি ওই ব্যক্তি প্রিয়াঙ্কা টিব্রেয়ালের সমর্থনে ছাপা বিজেপির লিফলেট নিতেও অস্বীকার করেছেন বলে জানা যায়।
উত্তর পূর্ব দিল্লী থেকে আগত বিজেপি সাংসদ মনোজ তিওয়ারি এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার কেউই ভবানীপুরে মমতা ব্যানার্জীর এত জনপ্রিয়তা দেখি স্বভাবতই ঘাবড়ে গেছেন। তবে বারবার অপদস্থ হয়েও হাল ছাড়ছেননা বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেয়াল। লড়াকু মন নিয়েই লড়ে যাচ্ছেন তিনি।