আসল নকল চেনা দায়। কে বলবে তিনি পুলিশ নন! লোক চমকানো খাঁকি ইউনিফর্ম , পরিপাটি ব্রাউন শ্যু, বুকে ব্যাজ এমনকি কাঁধের তিনটে স্টার চিহ্নে বিলকুল ‘সিংহম’ লাগছিলেন সিদ্ধার্থ চক্রবর্তী।
পুলিশের স্টিকার লাগানো স্করপিও গাড়িখানাও জোগাড় করেছিলেন বেশ কায়দা করে। নিজেকে ডিসপি পরিচয় দেওয়া এই লোকটি আসলে যে একটি জাল গুণধর, তা ধরা পড়ে গেল হাতেনাতে।
চন্দননগরের রানীঘাটের কাছে রাত ১২:০০টায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে সাগরেদদের সাথে জমিয়ে মদ্যপান করছিলেন ভূয়ো সিদ্ধার্থ। থানা যে একটু দূরেই, সেটাও বোধহয় ভুলে মেরে দিয়েছিলেন।
সন্দেহ হতেই হাজির হয় পুলিশ। থানায় এসে সপাট জেরার মুখে পড়ে স্বীকার করে ফেলেন তিনি আসলেই জাল। পুলিশের জেরার মুখে বাগ সাজা ভিজে বেড়াল যেন ভাজা মাছ উল্টে খেতেই জানেন না–এমনই ভাব করছিলেন। তবে তিনি যে আস্ত একটা ফ্রড, পুলিশের পোশাক পরলেই যে পুলিশ হওয়া যায়না, এটা হাড়ে হাড়ে টের পেয়ে গেছেন।
চন্দননগরের বক্সী গলির অধিবাসী সিদ্ধার্থ চক্রবর্তী পেশায় মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভ ছিলেন একসময়। ৩০ বছর বয়সী সিদ্ধার্থ গাড়ির ড্রাইভারিও করেছেন। সেই সূত্রেই প্রসাশনিক মহলের গাড়ি চালায় এমন কয়েকজনকে চিনতেন। তাই হয়তো জালিয়াতির আয়োজন করতে বেশ সুবিধে হয়েছে।
কাজকর্ম ছেড়ে লালবাতি দেওয়া স্করপিও গাড়ি নিয়ে ডিসপি সেজে লোকজনকে চমকে বেড়ান এই লোক। হুটার দেওয়া গাড়িটির নাম্বার WB 19J 7988. ধরা পড়ে যাওয়া এই জাল ডিএসপি সিদ্ধার্থর বিরুদ্ধে সুয়ো মোটো মামলা দায়ের করা হয়েছে। আইনের পোশাক পরে প্রকাশ্য রাস্তায় মদ্যপান ছাড়া আর কোনো বেআইনি কাজের সাথে সিদ্ধার্থ জড়িয়ে সেটাই খতিয়ে দেখছে পুলিশ।