মহাকাশে পাড়ি দিল স্পেস এক্স এর রকেট ‘ফ্যালকন ৯’। সঙ্গে রয়েছে ভ্রাম্যমান মহাকাশচারীদের জন্য খাবার—ফল, আইসক্রিম ,অ্যাভোকাডো এছাড়াও পাঠানো হল বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদ, লোনা জলের চিংড়ি মাছ আর পিঁপড়ে। কেন এসব জিনিস? জেনে নেওয়া যাক তার কিছু কারণ।
নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে ‘ড্রাগন’ নামে একটা ক্যাপসুলের মধ্যে সমস্ত জিনিসপত্র পুরে রবিবারই ফ্যালকন ৯ রওনা হয় মহাকাশের উদ্দেশ্যে। আজই তার আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছোনোর কথা – জানিয়েছে স্পেস এক্স।
স্পেস এক্স (স্পেস এক্সপ্লোরেশন টেকনোলজিস কর্পোরেশন) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি মহাকাশ প্রস্তুতকারী সংস্থা। ২০০৮ সালে স্পেস এক্স আন্তর্জাতিক স্পেপ স্টেশনে পণ্য সরবরাহ করার জন্য নাসার বাণিজ্যিক ‘ অরবিটাল ট্রান্সপোর্টেশন সার্ভিসেস’ কর্মসূচিতে চুক্তিবদ্ধ হয়। গত দশ বছরে এই নিয়ে ২৩ বার মহাকাশে গেল স্পেস এক্স এর তৈরি রকেট। ফ্যালকন ৯কে সর্বাধিক উত্তোলনের ক্ষমতাশালী মহাকাশযান বলে মানা হয়। এবারের অভিযানে ফ্যালকন ৯ সমস্ত জিনিসপত্র মিলিয়ে প্রায় ২,১৭০ কিলোগ্রাম ওজন বহন করছে। ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩৭০ কিলোমিটার উচ্চতায় থাকা মহাকাশ স্টেশনে সে সব সামগ্রী পৌঁছে দেবে।
মহাকাশচারীদের জন্য খাবার ছাড়াও মহাকাশের ভরশূন্য অবস্থায় পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্যই পাঠানো হয়েছে বিশেষ কিছু উদ্ভিদ, এবং চিংড়ি মাছ ও পিঁপড়ে। এছাড়াও পরীক্ষার জন্য এবার নাসা পাঠিয়েছে মানুষের আকৃতির একটি বিশাল ‘রোবোটিক আর্ম’।
জাপানের একটি সংস্থা বানিয়েছে এই রোবোট বাহু। ২০২৪ সালে ‘আর্টেমিস’ নামক এক অভিযানে আবারও মহাকাশচারীদের চাঁদে নামাতে চলেছে নাসা। ভবিষ্যতের সেই অভিযানে চাঁদের খনিজ সম্পদ সন্ধান এবং একটি স্থায়ী বেসক্যাম্প তৈরিতে সাহায্য করবে এই রোবট। এটা তারই আগাম প্রস্তুতি।