ভারতে বেশ কিছু হিন্দু দের দাবি রয়েছে তারা একদিন ভারত কে হিন্দু রাষ্ট্র হিসাবে পরিচয় দিতে চান। কিন্তু এরই মধ্যে কি অন্য কোনো দেশ হতে চলছে হিন্দু রাষ্ট্র!
ভারতের এক জন হিন্দু ধর্মাবলম্বী সাধু স্বামী নিত্যানন্দ কৈলাসা । তার উপর বিভিন্ন রকম আরোপ লাগানো হয়েছে। স্বামী নিত্যানন্দ উপর বেশ কিছু নারী দের ধর্ষণ করার আরোপ ও রয়েছে। এবং এই সবের পরে তিনি ভারত ত্যাগ করে। ভারত থেকে তাকে পলাতক ঘোষণা করার পর নিত্যানন্দ ঘোষণা করেছে তার নিজস্ব তৈরি হিন্দু রাষ্ট্র ” ইউনাইটেড স্টেটস অফ কৈলাসা “ । কিন্তু আসলেও কি রয়েছে এমন কোনো দেশ নাকি এটা শুধু খেয়ালি দেশ!
গত ফেব্রয়ারি মাসের ২৪ তারিক “সংযুক্ত রাষ্ট্রের” বৈঠকে বিজায়প্রিয়া নামের একজন মহিলা “ইউনাইটেড স্টেটস অফ কৈলাসা” প্রতিনিধি হয়ে “সংযুক্ত রাষ্ট্রের” বৈঠকে যোগ দেন যা দেখে সকলেরই চক্ষু চড়ক গাছ। এরকম কোনো দেশের অস্তিত্ব এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। এই দেশ কেবল মাত্র স্বামী নিত্যানন্দ এবং তার অনুসারী কিছু লোকেদের ধারণা মাত্র । সেই বৈঠকে “ইউনাইটেড স্টেটস অফ কৈলাসা” প্রতিনিধিত্ব করে বিজয়প্রিয়া ভারতের উপর আরোপ লাগান ।
তার কথা মত সে বৈঠকে বলেন ভারত “ইউনাইটেড স্টেটস অফ কৈলাসা”– র সংস্থাপক স্বামী নিত্যানন্দ কে প্রতারিত করছে, যা শুনে ক্ষিপ্ত হয়েছেন ভারত সরকার।
যেই দেশ নিয়ে নিত্যানন্দ ও তার প্রতিনিধি রা নিজেকে হিন্দুরাষ্ট্র বলে স্থাপন করতে চাইছেন আসলে তার কোনো স্বীকৃতি নেই, এই জায়গা টি আসলে “দক্ষিণ আমেরিকার” ছোট একটি দ্বীপ যা স্বামী নিত্যানন্দ নিজের মালিকানা দাবি করেন। তবে ভাবনার বিষয় একজন সাধারণ সাধু কি ভাবে এতো টাকা দিয়ে একটি দ্বীপ এর মালিকানা দাবি করতে পারে? তবে কি তার বড় অঙ্কের ভক্তের সংখ্যা থাকার কারণে নিজের ভক্তদের বোকা বানিয়ে জালিয়াতি করেছেন স্বামী নিত্যানন্দ!
যাইহোক, নিত্যানন্দের খ্যাতি 2010 সালে হিট হয়েছিল যখন একজন অভিনেত্রীর সাথে যৌন ক্রিয়ায় লিপ্ত হওয়ার একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছিল। এর ফলে তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং পরবর্তীতে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে আর্থিক জালিয়াতি ও জমি দখলের অভিযোগও রয়েছে।
2018 সালে, নিত্যানন্দ আবার শিরোনাম হয়েছিলেন যখন তিনি তার নিজের দেশ, কৈলাসা তৈরির ঘোষণা করেছিলেন , যেটিকে তিনি হিন্দু সার্বভৌম জাতি বলে দাবি করেছিলেন । তিনি আরও দাবি করেছেন যে তিনি ইকুয়েডরে রাজনৈতিক আশ্রয় পেয়েছিলেন, যেখানে তিনি তখন বসবাস করছিলেন।
নিত্যানন্দের কষ্ট সেখানেই শেষ হয়নি।
2019 সালে, তিনি আবার খবরে ছিলেন যখন একটি ভিডিও অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছিল, যা তাকে একজন মহিলার সাথে আপোষমূলক অবস্থানে দেখায়। ভিডিওতে থাকা মহিলাটিকে পরে একজন অভিনেত্রী হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল যিনি আশ্রমের সাথে যুক্ত ছিলেন। ভিডিওটি ক্ষোভ ও প্রতিবাদের জন্ম দেয় এবং ভারত সরকার নিত্যানন্দ এবং তার সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে।
নভেম্বর 2019-এ, শিশুদের অপহরণ এবং অন্যায়ভাবে বন্দী করার অভিযোগে নিত্যানন্দকে ভারতে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে শিশুদের আশ্রমে আটকে রাখার এবং তাদের নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়। নিত্যানন্দ পরে জামিনে মুক্তি পান , এবং তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। তার বিরুদ্ধে এখনো আইনি মালমা চলছে তবে এখন দেশের বাহিরে পলাতক রয়েছে স্বামী নিত্যানন্দ।