কোভিড কালের দীর্ঘ মেয়াদি তালাবদ্ধ পড়ে থাকা স্কুল খুলছে এবার। রাজ্য সরকারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী অবশেষে স্কুল খোলার কথা ঘোষণা করলেন।
পূজোর পরেই স্কুল খুলবে একথা আগেই জানানো হয়েছিল, তবে শিক্ষামন্ত্রী তখন চূড়ান্ত দিনক্ষণ জানাতে পারেননি। বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে ছিল। অবশে সমস্ত দিক বিবেচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী। আগামী ১৬ নভেম্বর স্কুল খোলা হবে।
কোভিড পরিস্থিতিতে দীর্ঘকাল বন্ধ পড়ে থাকা বিদ্যালয় কক্ষগুলো নতুন করে খোলার ক্ষেত্রে কীকী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে? আগামী পরিকল্পনা কী? জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
এক বৃহত্তর সংবাদ মাধ্যমের সাক্ষাৎকারে এসে ব্রাত্য বসু বলেছেন, ” রাজ্যের প্রত্যেকটি স্কুলের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য বড় অঙ্কের টাকা বরাদ্দ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।এতদিন ধরে স্কুল বন্ধ পড়ে, ক্লাসরুমগুলোর অবস্থা কীরকম, তার বিস্তারিত রিপোর্ট জেলা শাসকের মাধ্যমে আনানো হয়েছে। কোভিড নিয়ন্ত্রণের জন্য স্যানিটাইজার দেওয়া হচ্ছে “।
রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী এদিন দাবি করেছেন, সারাদেশে একমাত্র রাজ্য পশ্চিমবঙ্গেই সমস্ত শিক্ষকদের দুটি করে ভ্যাক্সিনের ডোজ নেওয়া হয়ে গেছে। শিক্ষার্থীদের জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম চূড়ান্ত ভাবে লাগু করা হয়নি, তবে বসার জায়গার দূরত্ব, টিফিন পিরিয়ডের সময় কমানো, নিয়মিত স্যানিটাইজ করানো এসব ব্যপারে বিশেষ নজর দেওয়া হবে। স্কুল এলাকা থেকেও বিভিন্ন প্রতিনিধি মারফত স্যানিটাইজ করানোর ব্যবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
অপরদিকে অভিভাবকদের মত কী? স্কুল খোলা হলেই সমস্ত অভিভাবক ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে রাজি হবেন কি? যদি না হন, তাদের ক্ষেত্রে কী পরিকল্পনা? শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে এই প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, এবিষয়ে এখনও কিছু ভেবে স্থির করা যায়নি। তবে গুরুত্ব দিয়ে প্রশ্নটা বিচার করে দেখা হবে।