১৯ ডিসেম্বর তারিখটা দুটি কারণে এবছর স্মরণীয়। প্রথমত এইদিনে কলকাতা পুরনির্বাচন সংঘটিত হয়েছে। আর দ্বিতীয়ত এই দিনটায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাই এই দিনটাকে ‘উচ্ছ্বাস দিবস’ হিসেবে পালন করছে তৃণমূল। যেহেতু ওই তারিখে ভোট ছিল, তাই পরের দিন ‘উচ্ছাস দিবসের’ কর্মসূচি পালন করা হয়। শুভেন্দুর দলত্যাগে তৃণমূলের যে ক্ষতির বদলে উপকার হয়েছে, সেটা জাহির করাই এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য।
২০ ডিসেম্বর হলদিয়ায় এই দিবস উচ্ছ্বাসে মেতে উঠলেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। কাঁথিতে মৎসমন্ত্রী অখিল গিরি, যুবসভাপতি সুপ্রকাশ গিরির নেতৃত্বে ‘গদ্দার হটাও উচ্ছ্বাস মিছিল’ আয়োজন করা হয়।
শুভেন্দু অধিকারী অবশ্য পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিতে ছাড়েননি। এদিন ট্যুইট করে তিনি ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, “বাংলার মানুষ দয়া করে তৃণমূলের নোংরামির সংস্কৃতি দেখুন।গতকাল ওরা হাজার হাজার পুলিশ কর্মী ব্যবহার করে আমায় আটকাতে চেয়েছিলেন। আজ আরও নিচে নেমে গিয়েছেন ওরা। আমার বাড়ির সামনে জোরে জোরে গান বাজানো হচ্ছে। তার জন্য কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। বিষয়টি যে অশোভন, সেটাও ভাবছেনা তৃণমূল।”
এরপর পারিবারিক পরিস্থিতির উল্লেখ করে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে সহানুভূতিশীল আচরণ দাবি করে তিনি আরো বলেছেন, “আমি কর্মব্যস্ত বলে একেবারেই বাড়িতে থাকতে পারিনা। কিন্তু বাড়িতে আমার ৮৩ বছরের বাবা শিশির অধিকারী থাকেন। আমার ৭৪ বছর বয়সী অসুস্থ মা-ও এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির শিকার হচ্ছেন।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি উদ্দেশ্য করে শুভেন্দুর বক্তব্য,”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এটুকু মনে রাখা উচিত যে, মানুষ যা করে সেটাই পরবর্তীকালে ফেরত পায়। বাংলার সংস্কৃতি মনস্ক মানুষজন নিশ্চয়ই এ ব্যাপারে বিচার করবেন।”
শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলের কোনও প্রতিক্রিয়া অবশ্য পাওয়া যায়নি।