সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারী সম্পর্কে বন্ধুত্বের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে সাম্প্রদায়িক কটুক্তি নিয়ে কষ্টের কথা জানিয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম। দ্বিতীয়বার কলকাতার মেয়র নির্বাচিত হবার পর সোশ্যাল মাধ্যমে আবারো সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক মন্তব্য করলেন বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা তথাগত রায়।
আজ সাতসকালে ট্যুইট করে তথাগত রায় লিখেছেন, “স্বাধীনতার পরে কলকাতার প্রথম অ-হিন্দু অ-বাঙালি মেয়র ফিরাদ হাকিম।…শেষের শুরু?”
কিসের শেষ বা শুরু সে প্রশ্ন এখানে অবান্তর। কথা হল যে সাম্প্রদায়িকতার জন্য বিজয়ী দল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ফিরহাদ হাকিম সমালোচনা করে বলেছেন, “বাংলার মানুষজন এই বিভেদের নীতি ভালো চোখে দেখেনা, এমন রাজনীতি করা উচিত নয়।” সেই কমিউনাল অ্যাজেন্ডা বা সাম্প্রদায়িক বিভেদের নীতিকেই বারবার অস্ত্র হিসাবে তুলে ধরছেন তথাগত রায়, শুভেন্দু অধিকারী সহ গেরুয়া শিবিরের নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, তথাগত রায়ের এই ট্যুইটের প্রত্যুত্তরেই অনেকে লিখেছেন — ‘ফিরহাদ হাকিম একজন ভারতীয় নাগরিক।’ মণিকা মুখোপাধ্যায় এবং আব্দুল হাকিমের পুত্র সেই ‘ভারতীয় বাঙালি রাজনীতিবিদ’ বলে প্রকাশ্যে পরিচিত ফিরহাদ হাকিমকে শুধুমাত্র ‘মুসলিম’ ধর্মের জন্য ইচ্ছাকৃত তকমা দিয়ে বিদ্রুপ করাটাকে, সচেতন মহলের একাংশ বিজেপি দলেরই রাজনৈতিক অ-শিষ্টাচার বলে দেখছেন।
এই বিভেদমূলক রাজনীতিকে হাতিয়ার করে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি কতদূর নিজেদের ক্ষমতা প্রসারিত করতে পারবে, সেটা সময়ই বলবে।
প্রসঙ্গত, তৃণমূল কংগ্রেসের ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’ ফিরহাদ হাকিম আরো একবার কলকাতার মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হলেন। ‘সংখ্যালঘু মেয়র’ হিসেবে বিরোধীদলের আপত্তি সত্ত্বেও ফিরহাদ হাকিমকে কলকাতার মহানাগরিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মনোনয়নের পর কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, “জীবন গেলেও মমতা ব্যানার্জীর বিশ্বাস ভঙ্গ হতে দেবনা। আমৃত্যু ওনার বিশ্বাসের মর্যারা রেখে, উনি যে দায়িত্ব দিয়েছেন তা পালন করে যাব।”