কোভিড চলাকালীন সংকটজনক পরিস্থিতিতে খাদ্যপ্রকল্পের অধীনে সারাবিশ্বের ৮৮টি দেশ মিলিয়ে প্রায় ১১ কোটি মানুষকে অন্নের যোগান দিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। এই প্রকল্প অর্থাৎ ‘ইউনাইটেড নেশনস ওয়র্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম’ সম্প্রতি নোবেল শান্তি পুরস্কারে (২০২০) সম্মানিত হয়েছে। অতিমারি চলাকালীন খাদ্য সঙ্কট দূরীকরণে তাদের ভূমিকার প্রভূত প্রশংসা করা হয়। সেই আবহেই কলকাতার একটি অনুষ্ঠানে ‘নোবেল পুরস্কারের’ জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নাম প্রস্তাব করলেন এক বিশিষ্ট ভারতীয় ব্যক্তিত্ব।
কোভিড পরিস্থিতিতে ভারতের বেরোজগার দরিদ্র জনসাধারণের জন্য যেভাবে খাদ্যের ব্যবস্থা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী, তাঁর সে ভূমিকাকে অতুলনীয় আখ্যা দিয়ে –রাষ্ট্রপুঞ্জকে একদিকে রেখে বিপরীতে এক ব্যক্তিকে, এই দেশের সরকারকে সমান তুলনায় দাঁড় করিয়ে দেখালেন BSE ( বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ)-এর চিফ আশিষ চৌহান।
তাঁর মতে নরেন্দ্র মোদী নোবেল পুরস্কার পাওয়ার যথোপযুক্ত ব্যক্তি। নোবেল কমিটির এই বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত বলে দাবি করেছেন তিনি।
সম্প্রতি IIM কলকাতার সমাবর্তন অনুষ্ঠানের মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সংকট মূহুর্তে ভারতের রাজনীতিক, চিকিৎসক, মেডিকেল কর্মী ও সমাজসেবীদের প্রশংসনীয় ভূমিকার কথা তোলেন BSE চিফ আশিষ চৌহান। পাশাপাশি বলেন, “উন্নত দেশগুলির চেয়ে ভারতে মাথাপিছু গড় আয় ১০-৩০ শতাংশেরও কম। তার পরেও কোভিড পরিস্থিতি ভাল ভাবেই সামাল দিতে পেরেছি আমরা। আমাদের গর্ব হওয়া উচিত। ফ্রি রেশন প্রকল্পে দেশের ৮০ কোটি মানুষের মুখে অন্ন তুলে দেওয়া হয়েছে। অনেকগুলি দেশকে একত্রিত করলেও, তাদের জনসংখ্যা এত হবে না। নোবেল কমিটি মোদীজির এই কৃতিত্বকে গুরুত্ব দিয়ে দেখবে কিনা, সেটা সময়ই বলবে।”
কার্যত এভাবেই নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য ব্যক্তি হিসেবে নরেন্দ্র মোদীর কৃতিত্ব তুলে ধরেন আশিষ চৌহান। তিনি স্পষ্টতই মনে করেন মোদীর একার ভূমিকার সামনে রাষ্ট্রপুঞ্জের যৌথ উদ্যোগ সামান্য। রাষ্ট্রপুঞ্জ ১১ কোটি মানুষের খাবারের যোগান দিলেও, ভারতের জনসংখ্যার তুলনায় তা মাত্র ১৪ শতাংশ।উল্টোদিকে করোনা চলাকালীন, ভারতের ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। তাহলে কি তিনিও নোবেল পাওয়ার যোগ্য নন? প্রশ্ন তুলেছেন BSE চিফ আশিষ চৌহান।