‘ইফতার পার্টির নেমন্তন্ন ছিল, তাই নৈশভোজ প্রত্যাখ্যান!’ মমতাকে ব্যঙ্গ দিলীপের

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিন্দা দিয়েই দিন শুরু হয় দিলীপ ঘোষের। তাই প্রধানমন্ত্রীর ‘নৈশভোজ’ প্রত্যাখ্যান নিয়ে তিনি কী মন্তব্য করেন, সেটা জানার অপেক্ষায় মুখিয়ে ছিল বাংলার রাজনৈতিক মহল। যথারীতি এমন একটি মন্তব্য করলেন দিলীপ ঘোষ, যা সাম্প্রদায়িকতার বাতাবরণে আরেকটু ধোঁয়া উস্কে দিল।

উল্লেখ্য, শনিবার দিল্লীতে আয়োজিত বিচারবিভাগ নিয়ে এক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলার ও অন্যান্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটে না এলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সৌজন্য রক্ষা করেছেন। তিনি দিল্লীর সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদীর বক্তৃতার প্রশংসাও করেছেন কিন্তু নৈশভোজে অংশ নেননি। স্পষ্টতই যা নজরে পড়েছে এবং তাই নিয়ে আলোচনাও ফেনিয়ে উঠেছে।
সেই প্রসঙ্গেই বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষের মতামত চাওয়া হলে তিনি বলেন, “নিশ্চয়ই কোথাও ইফতার পার্টির নেমন্তন্ন ছিল, তাই নৈশভোজে যাননি।”

এই মন্তব্যে মমতাকে লক্ষ্য করে ‘মুসলিম প্রীতির’  খোঁচা স্পষ্ট, পক্ষান্তরে যা দিলীপবাবু এবং তার দলের ‘মুসলিম বিরোধী’ মানসিকতাকেও প্রতিফলিত করেছে। প্রসঙ্গত, ওই সম্মেলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বক্তব্যে অভিযোগ তুলেছেন,  পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক স্বার্থে প্রচুর জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। এই অভিযোগের প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ পাল্টা অভিযোগ তুলে বলেছেন, “রাজনৈতিক স্বার্থে এখানে এত খুনখারাপি কেন হবে? তিনি বিচার করতে দেবেননা, চাপা দিতে চাইবেন! এরপর কেউ আদালতে গেলেই সেটা রাজনৈতিক স্বার্থ হয়ে যাবে? এটা কীকরে হয়!”

এভাবেই কার্যত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকেই সমস্ত বিষয়ে পাল্টা কটাক্ষ ছুঁড়েছেন দিলীপ ঘোষ। সম্প্রতি বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা অর্জুন সিংয়ের তৃণমূলের সঙ্গে একবাক্যে আন্দোলনের প্রসঙ্গেও দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, “এতদিন ওরা কী করছিল ঘুমোচ্ছিল? গত ১১ বছরে চা ও পাটশিল্পকে ধ্বংস করেছে। এখন অর্জুন সিং বলবেন তারপর যাবেন?” কেন্দ্রের দায় অস্বীকার করে পাটশিল্পের বর্তমান দশার জন্যও দিলীপ ঘোষ রাজ্যের গাফিলতিকেই দায়ী করেছেন।