বিজেপি কর্মী মৃত অভিজিৎ সরকারের দেহ আজ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। মৃতের পরিবারের সাথে এনআরএস হসপিটালের মর্গ থেকে দেহ নিতে যান সাংসদ অর্জুন সিং ও অন্যান্য নেতাকর্মীরা। তাদের মধ্যে ছিলেন দেবদত্ত মাজি, প্রিয়াঙ্কা টিব্রেয়াল প্রমুখ। আর এদিন মরদেহ নিতে গিয়েই বিজেপি কর্মীদের সাথে বচসা বাধে পুলিশের।
বিজেপি নেতা কর্মরত পুলিশকে ধাক্কা মারতে শুরু করেন বিজেপি কর্মী দেবদত্ত মাজি। পুলিশের গায়ে প্রকাশ্যে হাত তোলার এই ভিডিও সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে।
বেলা ১১:০০টায় হসপিটালে পৌঁছে যাওয়ার পর বডি দিতে দেরি হওয়ার জন্যই এই বচসার শুরু। তা ক্রমশ ধাক্কাধাক্কি মারামারির পর্যায়ে পৌঁছোয়। পরে অভিযুক্ত দেবদত্ত মাজি ” উত্তজনাবশত হয়ে গেছে ” বলে ভুল স্বীকার করে নিলেও ঝামেলায় ইন্ধন দেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
বেরোখা মনোভাব নিয়ে তিনি বলেন,”যা হয়েছে বেশ হয়েছে । সরকারের গালে চড় মারা উচিত”।
কীকরে তিনি এমন আপত্তিজনক মন্তব্য করলেন সেটা সম্ভবত পাশে থাকা অন্য কর্মীদেরও মাথায় আসছেনা। ঝামেলা সমাধানের পরিবর্তে দিলীপবাবুর এই মন্তব্য দফায় দফায় ঝামেলা বাড়িয়েছে।
দেহ নিয়ে শ্মশান যাওয়ার পথে একাধিক রাস্তায় বারবার পুলিশের সাথে রুট নিয়ে ঝামেলা বেঁধেছে বলেই সূত্রের খবর। শুধু পুলিশের গায়ে হাত তোলার সমর্থন , এবং সরকারের গালে চড় মারার কথা বলেই দিলীপ ঘোষ ক্ষান্ত হননি। প্রকাশ্য মাধ্যমেই শাসানি দিয়েছেন,”আমার দলের ছেলেদের গায়ে কেউ হাত দিলে তার বুকে পা তুলে দেবো”।
তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তাপস রায় কড়া ভাষায় দিলীপ ঘোষ ও তাঁর দলের এই আচরণের নিন্দা করেছেন। ইউনিফর্ম পরা অবস্থায় ডিউটিরত পুলিশের গায়ে হাত তোলার অধিকার কোনো রাজনৈতিক দল, এমনকি এমএলএ এমপি কারুর নেই। এ কথা জানিয়ে তাপস রায় বলেছেন,”এই অপরাধে এই মূহুর্তে দিলীপ ঘোষকে গ্রেপ্তার করা উচিত”।