রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) নেপথ্য প্রভাবেই যে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) চলেন সেটা সকলেরই জানা। রাজনীতির মঞ্চে পুতুল খেলায় বিজপির সুতোটা থাকে আরএসএসের হাতে। কিন্তু সঙ্ঘ সেবকরা সরাসরি হস্তক্ষেপ কখনোই করেননা। এবার সেটা করার সম্ভাবনা দেখতে পেয়েই ক্ষুব্ধ হচ্ছে বিজেপি।
সম্প্রতি আরএসএস বিজেপিকে নির্দেশ দিয়েছে ‘নতুন কর্মী, নতুন নেতা’। তা একরকম দীক্ষা মন্ত্রের মতোই মগজে গেঁথে নিতে হবে, যদি বিজেপি দলকে ভরাডুবি থেকে বাঁচাতে হয়।
সঙ্ঘের এই নির্দেশে দলের প্রবীন অভিজ্ঞ রাজনীতিকরা ক্ষুন্ন হয়েছেন। প্রশ্ন তুলছেন, সঙ্ঘ কি তবে পুরোনো নেতাদের প্রতি আস্থা বজায় রাখতে পারছেনা?
কিছুদিন আগেই জলপাইগুড়িতে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সংঘের বিভিন্ন শাখা যেমন — বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, বিদ্যার্থী পরিষদ,বনবস্তি কল্যান পরিষদ, মজদুর সংঘের সদস্যরা ওই বৈঠকে অংশ নেন।
বিজেপিকের নেতাদেরও ডেকে পাঠানো হয়েছিল। গত বিধানসভা ভোটের বিপর্যয় নিয়ে কড়া কথা শুনতে হয় বিজেপিকে। এবার সরাসরি নির্দেশ দেওয়া হল — দল বাঁচাতে নতুন মুখ চাই।
এই নির্দেশেই মেঘের ঘনঘটা দেখছেন বিজেপি নেতৃবৃন্দ। তাদের দাবি সঙ্ঘ এবার সরাসরি রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করতে চাইছে। কেননা, এ ধরনের বৈঠকে সাধারণত রাজনৈতিক নেতাদের ডেকে সরাসরি নির্দেশ দেওয়া হয়না, বিজেপির ওপর মহলের নেতৃত্ব মারফতই সঙ্ঘ নির্দেশ পাঠায়। এবার তার ব্যতিক্রম ঘটায় স্বভাবতই দুশ্চিন্তায় পড়ল বিজেপি দল।