মারাত্মক ঘটনা উত্তরপ্রদেশে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয়ে চাপা পড়ে ২ কৃষকের মৃত্যু ও ২ কৃষককে গুলি করে মারার অভিযোগে তোলপাড় বিজেপি শাসিত উত্তর প্রদেশের লখিমপুর খেড়িত। শুধু তাই নয়, ওই ঘটনার পর সংঘর্ষে ৪ জন কৃষক ও আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।
ভবানীপুরের ভোটে জেতার পর এই ঘটনায় গর্জে উঠেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ লখিমপুরে যাচ্ছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল।
কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র ও রাজ্যের উপ মুখ্যমন্ত্রী কেশব মৌর্যর সফরের নেতৃত্বে একজোট হয় কৃষকরা। আর সেখানে ওঠে মারাত্মক অভিযোগ। ঘটনার সূত্রপাত , কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয়ের একটি গাড়ি ২ কৃষককে পিষে দিয়ে যায়। জানা যায়, সেই গাড়িটিতে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রর ছেলে আর এর পর রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা।
সংঘর্ষে ৪ কৃষক সহ মোট ৮ জনের মৃত্যু হয়। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রের দাবি, তাঁর ছেলে কনভয়ে উপস্থিত ছিলোনা। থাকলে তাকে পিটিয়ে মারতো কৃষকরা। যদিও ঘটনার পরআসরে নেমেছে বিরোধীরা। উপনির্বাচনে বিপুল জয় পাওয়ার দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ‘লখিমপুর খেরির ঘটনার আমি তীব্র বিরোধিতা করছি। কৃষকদের প্রতি বিজেপি-র উদাসীন মনোভাব আমাকে যন্ত্রণা দিয়েছে। সোমবার তৃণমূলের পাঁচ সাংসদের দল কৃষক পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন।’ জানা গিয়েছে, লখিমপুর খেরি যাচ্ছেন তৃণমূলের কাকলী ঘোষ দস্তিদার, দোলা সেন,সুস্মিতা দেবরা।
লখিমপুরের ঘটনার পর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে বিক্ষোভরত কৃষকরা। ঘটনার প্রতিবাদে দেশ জুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি ডেকেছে কৃষকদের সংগঠন সংযুক্ত কিষান মোর্চা। সোমবার দুপুরে দেশের বিভিন্ন জেলায় জেলাশাসকের অফিসের সামনে প্রতিবাদ কর্মসূচি ডেকেছে তারা। কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে পঞ্জাব ও হরিয়ানা থেকে কৃষকরা উত্তরপ্রদেশে আসতে শুরু করেছে।
রবিবার মধ্যরাতে এ বিষয়ে একটি টুইট করেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তিনি লেখেন, ‘এটা কৃষকের দেশ, BJP-র দেশ নয়। আমি লখিমপুর গিয়ে কোনও অপরাধ করছি না। আমি শুধু আক্রান্তদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে চাই। তা সত্ত্বেও আমাকে থামানো হয় কেন?’ জানা গিয়েছে, পুলিশ তাঁকে হেফাজতে নেয় ও তাঁকে জেলা পুলিশের অফিসে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।