এবার মেয়েদের পাশাপাশি প্রতিবাদে সামিল হল কাবুলের ছেলেরাও।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রকাশিত এক রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে — ক্লাস ১২ এর রোহুল্লাহ্ নামের এক ছাত্র প্রকাশ্যে বলেছে,”মেয়েরা সমাজের অর্ধাংশ। যতদিন না মেয়েদের স্কুল খোলা হচ্ছে ততদিন আমিও স্কুলে যাবোনা”।
এই বয়কটে রোহুল্লাহ্ তার অন্যান্য বন্ধুদেরও সামিল করেছে বলে জানায়।
আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতিতে এক ছাত্রের এই প্রতিবাদ নতুন মাত্রা আনলো।
তালিবান ক্ষমতায় আসার পরই ঘোষনা করে মেয়েরাও লেখাপড়া করতে পারবে, তবে ছেলে ও মেয়েদের ক্লাস চলবে আলাদা। এই মর্মে ছেলেদের স্কুল খোলা হলেও মেয়েদের স্কুল এখনও পর্যন্ত খোলা হয়নি।
তালিবান মুখপাত্র জবিউল্লাহ্ মুজাহিদ মেয়েদের স্কুল কবে খোলা হবে এ প্রশ্নে নীরবই থেকেছেন। যদিও চিন্তাভাবনা আলোচনা চলছে বলে সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়েছে।
আফগানিস্তানে শিক্ষাক্ষেত্রে এই বিভেদ বৈষম্যের রেশ পড়েছে কাবুল ইউনিভার্সিটিতেও। ক্লাস চালু হলেও শিক্ষার্থী ও অধ্যাপকদের বেশিরভাগই অনুপস্থিত।
সেখানেও দেখা যাচ্ছে স্পষ্ট প্রতিবাদের ছায়া। আর সেই প্রতিবারের মূল লক্ষ্যই হল ‘নিকাব’ অস্বীকার।
মেয়েদের স্কুলমাঠে কলেজে হিজাব ও নিকাব পরা বাধ্যতামূলক করেছে তালিবান শাসকরা। তার বিরুদ্ধে গনতান্ত্রিক মনোভাবাপন্ন বহু ছেলেমেয়ে এবং শিক্ষিত সমাজের বড় অংশ প্রথম থেকেই সরব।
স্কুলে মেয়েদের অধিকারের সপক্ষে ছাত্রদের এককাট্টা হওয়া, ইউনিভার্সিটি বয়কট সোজাসুজি বুঝিয়ে দিচ্ছে — এ আফগানিস্তান বিশ বছরের গনতান্ত্রিক চেতনায় এখনও অভ্যস্ত। সে অভ্যাস জোর করে বদলাতে গেলে আগুন তো ছড়াবেই!
কাবুলের ঘারজিস্তান ইউনিভার্সিটির ডিরেক্টর নুর আলি রহমানি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন,”ছাত্রছাত্রীরা তালিবানদের নির্দেশ মানতে রাজি নয়। ছাত্রীরা হিজাব পড়বে, কিন্তু নিকাব পড়বেনা। তাই তারা অনুপস্থিত। আমাদের অধ্যাপকদেরও একই মত। তাই আমরা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছি”।
এই প্রতিবাদ তালিবানি শাসনের নতুন অধ্যায়ে কতটা প্রভাব ফেলবে? নিকাব না রেখেই কি স্কুল কলেজে বা প্রকাশ্যে আসতে পারবে মেয়েরা?
সেটা সময় বলবে।