কথা ছিল ভোট দেবার। সেকথা মানতে গিয়ে একধাপ এগিয়ে মমতা ব্যানার্জীকে সমর্থন করে হোর্ডিংই ঝুলিয়ে দিলেন কংগ্রেসের এক নেতা! এই ঘটনায় কংগ্রেস শিবিরে ছড়িয়ে পড়ল অস্বস্তি।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী গোড়াতেই জানিয়েছিলেন কংগ্রেসের জাতীয় নেতৃত্ব চাইছেননা মমতার বিরুদ্ধে প্রার্থী দেওয়া হোক। অতএব তারা ভবানীপুরে প্রার্থী দিচ্ছেননা। দলের কর্মীরাই সিদ্ধান্ত নিক কাকে ভোট দেবে। কর্মীদের বোঝা উচিত দিল্লীর নেতৃত্বে আসলে কী ইঙ্গিত করছেন!
ইঙ্গিত সাধারণ মানুষ থেকে রাজনৈতিক মহল সকলেই বুঝে নিয়েছিলেন। কংগ্রেস সমর্থকদের ভোট যে তৃণমূলেই যাবে এ তো সহজ সমীকরণ।
কিন্তু সে ইঙ্গিতের একেবারেই উল্টো মানে বুঝে প্রকাশ্যে মমতা ব্যানার্জীকেই সমর্থন করে বসলেন কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের নেতা দেবাশীষ দত্ত। তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জীর সমর্থনে টাঙানো ওইসব হোর্ডিংয়ে নিজের নামের সাথে আরো ১০ জনের নামও যোগ করেছেন দেবাশীষ।
এই হোর্ডিং চোখে দেখামাত্র কংগ্রেস মহলে হুলুস্থুল বেধে যায়। সাথে সাথে ঘটনেটে শ্রমিক সংগঠন আইএনটিইউসি-র রাজ্য সভাপতি কামরুজ্জামান কামারকে জানানো হয়।এরপরই চিঠি লিখে পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়।
অভিযোগে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে — কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই হোর্ডিং দেওয়া হয়নি। ভবানীপুর উপনির্বাচনে তৃণমূলকে সমর্থন করে ভোট দিতে বলেছে কংগ্রেস দল। আর কিছু নয়।
এছাড়াও চিঠিতে দাবি করা হয়,”জনৈক দেবাশীষ দত্ত নিজেকে শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি বলে পরিচয় দিয়ে এই হোর্ডিং লাগিয়েছে। বিরোধী দল বিজেপি এটাকে ইস্যু করতে পারে। তাই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে ভেবে দেখার আবেদন জানাচ্ছি”।
দক্ষিণ কলকাতার জেলা কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ প্রসাদের দেওয়া বয়ান অনুযায়ী দেবাশীষ দত্ত নামের এই ব্যক্তি দশ বছর আগে কৃষক সংগঠনে ছিলেন। বর্তমানে কংগ্রেস দলের সাথে তার কোনও সংস্রব নেই।
দেবাশিস দত্ত আসলে ভূয়ো!