ত্রিপুরায় রবিবার বিকেলে গ্রেপ্তার হলেন অভিনেত্রী তথা তৃণমূল যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। তাঁর ওপর ৩০৭ ধারা অর্থাৎ খুনের চেষ্টার অভিযোগে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা হয়েছে। এই ঘটনাকে বিপ্লব দেব সরকারের চক্রান্ত বলেই ইঙ্গিত করছেন কুনাল ঘোষ।
শনিবার থেকেই ঝামেলার সূত্রপাত হয়। এদিন চৌমুহনীতে তৃণমূলের ভোটপ্রচার ও সভা ছিল। অপরদিকে বিজেপিও পথসভার আয়োজন করেছিল এইদিন। সায়নীর ওপর অভিযোগ, তিনি প্রচার শেষে ফেরার সময় বিজেপির সভা লক্ষ্য করে ‘খেলা হবে’ শ্লোগান ছোঁড়েন, এবং মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের উদ্দেশ্যে খারাপ মন্তব্য করে বসেন। শুধু তাই নয় সায়নী ঘোষের গাড়িতে একজন চাপা পড়েছেন বলে অভিযোগ জানানো হয়।আশঙ্কাজনক অবস্থায় সেই ব্যক্তি নাকি হাসপাতালে ভর্তি।
পোলো হোটেলে রাতের বেলায় হানা দেয় পুলিশ। এই হোটেলেই সায়নী ঘোষ, কুনাল ঘোষ সহ তৃণমূল নেতানেত্রীরা উঠেছেন। রাতে পুলিশ হোটেলে হাজির হয়ে সায়নীকে গ্রেপ্তার করতে চাইলে নোটিশ দেখতে চান কুনাল ঘোষ। নোটিশ না থাকায় রাতে তৃণমূল নেত্রীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
পরদিন অর্থাৎ রবিবার সকালে সায়নী ঘোষ নিজেই সুস্মিতা দেব ও কুনাল ঘোষের সাথে পূর্ব আগরতলা থানায় হাজিরা দেন। এখানেই সায়নীকে জেরা শুরু হয়। সারাদিন ধরে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের পর এদিন বিকেলে সায়নী ঘোষকে হেপাজতে নিল পুলিশ।
ওই একই সময়ে, অর্থাৎ সায়নীকে জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন থানার বাইরে আবারো বিজেপি তৃণমূল সংঘর্ষ বেধে যায়। ২ জন তৃণমূল কর্মীকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছে। কিন্তু পুলিশ এই হামলাকারীদের উদ্দেশ্যে কিছুমাত্র পদক্ষেপ নেয়নি।
সায়নীর ওপর আইপিসি ৩০৭, ১০২ বি, ১৫৩, ১৫৩ এ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। জামিন অযোগ্য অপরাধে মামলা হওয়ায় আপাতত তৃণমূল নেত্রী সায়নীকে লকআপেই কাটাতে হবে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে কুনাল ঘোষ ট্যুইটে লেখেন, “অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হল সায়নী ঘোষকে। ধিক্কার ত্রিপুরা সরকার। থানায় হামলাকারীরা গ্রেপ্তার হলনা। গ্রেপ্তার হল সায়নী”।
সাংসদ সুস্মিতা দেবও দাবি জানান, “সায়নীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে”। ২৫ তারিখ পুরভোট আসন্নপ্রায়। ঠিক এই মূহুর্তে যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষকে গ্রেপ্তার শাসকদলেরই পরিকল্পিত, রাজনৈতিক শিবিরের অনেকে সেটাই মনে করছেন।