গৃহবন্দি হওয়ার অভিযোগ তুললেন সোনাম ওয়াংচুক। এই নামের সাথে কম বেশি আমরা সকলেই অবগত। তার জীবনের অনুপ্রেরণায় তৈরি হয় ” থ্রি ইডিয়ট” যেখানে আমির খান মুখ্য ভূমিকা পালন করেন ফুনসুক ওয়াংরু নামে। নিজের জীবনে তিনি অনেক খ্যাতি লাভ করেন ২০১৭ সালে তিনি “গ্লোবাল আওয়ার্ড অফ সাসটেইনেবল আর্কিটেকচার” পুরষ্কারে খ্যাত হন। এবং ২০১৮ সালে তিনি ” রেমোন মেগাসায়সায়” পুরষ্কার পান। এছাড়াও তিনি লাদাখের ছাত্র ছাত্রী দের জন্য একটি অর্গানাইজেশন শুরু করেন যার নাম স্টুডেন্টস এডুকেশনাল অ্যান্ড কালচারাল মুভমেন্ট অফ লাদাখ।
ঘটনার সূত্রপাত
সোনাম ওয়াংচুক গত কয়েক দিন ধরেই অনশন করছেন বলে জানাযায়। তিনি ভারতীয় সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলের অধিকার নিয়েই অনশন শুরু করেছেন। যার কারণ ছিল লাদখ কে এই ক্লাইমেট এর হাত থেকে রক্ষা করা এবং সেখানের মানুষের জন্য সরকারের লাদাখ উন্নয়নের নিয়ে একটু চিন্তা ভাবনা করা। তাই তিনি টানা কয়েকদিন ধরেই অনশন করছিলেন বলে জানা গেছে। সোনাম ওয়াংচুক নিজের অনশনে চতুর্থ দিন টুইট করে জানান যেন তার এই দিনে সবাই একত্রিত হয়ে সকাল ৯ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত তার সাথে অনশনে যোগ দেয়। তিনি লাদাখ এর মানুষের কাছে অনুরোধ জানান সকল পার্শ্ববর্তী জায়গা গুলিতে তেনো যারা এই অনশনে ব্যবস্থা করে। লাদাখ কে ক্লাইমেট এর হাত থেকে বাঁচাতে তার এই পদক্ষেপ। প্রথমে তিনি চেয়েছিলেন খারদুংলতে অনশন করার কথা যেখানে কার তাপমাত্রা পৌঁছায় -৪০° তে। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পথ তুষারে ঢাকা পড়ে যাওয়ার কারণে পরে তিনি নির্নয় করেন “হিমালয়ান ইনস্টিটিউট অফ অলটারনেটিভ” থেকে তিনি নিজের অনশন চালিয়ে যাবেন।
কিন্তু এরই মধ্যে পুলিশ তাকে গৃহবন্দি করেন বলে জানান সোনাম ওয়াংচুক। তিনি বলেন লেহ পুলিশ তাকে অনশন করতে বাধা দিয়েছে এবং নানান শর্ত ও আরোপ লাগানো হয় তার উপর। কিন্তু লেহ পুলিশ এই সব অভিযোগ অস্বীকার করেন । ওয়াংচুক আরও জানান বন্ডে স্বাক্ষর করানোর জন্য চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে তার উপর, কিন্তু পুলিশ এই কথা অস্বীকার করে বলেন ৫দিনের জন্য ওনার অনশন বাতিল করা হয়েছে শুধু। এই বিষয়ে জানাযায় লাদাখ এর কোনো রকম বিষয়ে কোনো বক্তব্য রাখতে পারবেন না সোনাম ওয়াংচুক এছাড়া লাদাখ এর কোনো জনসমাবেশে উপস্থিত থাকতে পারবেন না তিনি। এই নিয়ে ভীষণ ভাবে ক্ষিপ্ত হয়েছেন লাদাখ এর সাধারণ মানুষ। এই প্রতিবাদের রেশ দেখা দিচ্ছে সোশাল মিডিয়ার নেটিজেন দের মধ্যে ও সাধারণ লাদখবাসি দের মধ্যে।