গতকাল ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে দিল্লিতে কেন্দ্রের সাথে বৈঠক করলেন রাজ্যের প্রতিনিধিরা। এর কিছুদিন আগে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে পরিস্থিতি পরিদর্শন করে ঘাটাল ইস্যুটিকে তিনি জাতীয় সমস্যা হিসেবে দেখার কথা ঘোষণা করেছিলেন। এই ইস্যুতেই ৮ দফা দাবি নিয়ে দিল্লি গেলেন মানস ভুঁঞা, গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত সহ রাজ্য দপ্তরের দশজন প্রতিনিধি।
রাজ্যের বন্যা নিয়ন্ত্রণে এই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান কার্যকর হওয়া জরুরি। প্রতিবারের মতো এবাররও ডিভিসির ছাড়া জলে ভেসে গিয়েছিল ঘাটাল, দাসপুর, হাওড়া, হুগলী ও বাঁকুড়া জেলার কিছু অংশ। দ্রুত বাঁধগুলো সংস্কার করা না হলে ভবিষ্যতে বিপর্যয় আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা।
তা সত্ত্বেও প্রকল্পের কেন্দ্র বরাদ্দ টাকা দিচ্ছেনা বলেই দীর্ঘদিন অভিযোগ আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। গতকালের দশ প্রতিনিধিদলের বৈঠকে সেই দাবিই আরও জোরদার হল।
ঘাটালের বানভাসী সমস্যা বহুদিনের। ১৯৫৯ সালে নেহেরু সরকারের তৈরি কমিটির পরিদর্শনের পর ১৯৭৯ সালে কেন্দ্রের জনতা সরকারের আমলে ঘাটাল প্রকল্প অনুমোদিত হয় ১৯৮২তে ইন্দিরা গান্ধীর আমলে শিলান্যাস , তারপরেও কেটে গেছে এতগুলো বছর ! তবু প্রকল্প কার্যকর হয়নি!
পরিকল্পনা অনুযায়ী বরাদ্দ টাকার ৭৫ শতাংশ কেন্দ্র দিলে রাজ্য দেবে ২৫ শতাংশ। তবু কেন্দ্র তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করছেনা। এছাড়াও ফারাক্কা সংস্কারের জন্য ৭০০ কোটি টাকা ধার্য করেছিল কেন্দ্র, সেই টাকাও রাজ্য পায়নি বলে মুখ্যমন্ত্রীর তীব্র অভিযোগ। এছাড়া কপালেশ্বরী, কেলেঘাই নদী সংস্কারের বরাদ্দ ৩২৫ কোটি টাকার মধ্যে এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রের কাছ থেকে রাজ্য মাত্র ১৭৮ কোটি টাকা পেয়েছে।
ডিভিসির জলধারণ ক্ষমতা দিন দিন কমছে ।বাকি টাকা কোথায়? কবে কার্যকর হবে ঘাটাল সহ অন্যান্য বাঁধ প্রকল্প! সঠিক বরাদ্দ টাকা না পেলে কীভাবে সংস্কার হবে ক্ষতিগ্রস্ত দীঘা ও সুন্দরবনের? কেন্দ্রের কাছে এর কোনও সদুত্তর আছে কি?