‘Local goes global’ এই মন্ত্র নিয়েই শুরু হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্নের প্রকল্প ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ (Make in India)। আগস্ট মাসে প্রধানমন্ত্রীর নিরূপণ করা এই পরিকল্পনা একদিকে যেমন দেশের রপ্তানি (Export) ত্বরান্বিত করেছে, তেমনই বিশ্ববাজারে বড়সড় ঝটকা খেয়েছে চীনের মতো দেশ। বিশেষ করে মোবাইল ফোন প্রস্তুতির কথাই ধরা যেতে পারে।
একসময়ে স্যামসাং কিম্বা নোকিয়া ছাড়া ফোন কোম্পানি ভাবাই যেতনা। অ্যাপেল তো সাধারণ লোকের ধরাছোঁয়ার বাইরে। ধীরে ধীরে ভিভো, অপ্পো, রিয়েলমি ইত্যাদি ফোন বাজার দখল করে নেয়। অন্যান্য ইলেকট্রনিক গ্যাজেট-এর মতোই ‘সস্তায় উন্নত প্রযুক্তি’-র সাপেক্ষে খুব স্বাভাবিক ভাবে চীনই ফোন নির্মাণেও বাজার ছেয়ে ফেলে।
এই পর্যন্ত ভারত মূলত আমদানির ওপরই নির্ভর করে ছিল। একটি পরিসংখ্যানের তথ্য বলছে,২০১৭-১৮ সাল থেকে ভারত তার নীতি বদলাতে শুরু করে। আমদানিকারক (import) দেশ থেকে রপ্তানিকারক (Export) দেশ হিসেবে জায়গা নেওয়ার পরিকল্পনা শুরু হয়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ওই সময়ে আমদানি অঙ্কের পরিমাণ কমে, রপ্তানি খাতে খরচ বাড়াতে উদ্যোগী হয় ভারত, এবং রপ্তানিকারক দেশ হওয়ার ফলে, স্বনির্ভর হওয়ার লক্ষ্যে এগোতে শুরু করে।
এরপর ২০২১-এর আগস্ট মাসেই একটি ভিডিও কনফারেন্সে ‘মেক ইন ইন্ডিয়ার’ সম্ভাবনা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যেখানে বাইরে থেকে উৎপাদিত দ্রব্য আমদানির বদলে নিজেদের দেশেই উৎপাদনে জোর দেওয়া হয়।এতে যেমন দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে, তেমনই রপ্তানিকারক দেশ হিসেবেও বিশ্ববাজারে অংশীদার হয়ে উঠবে ‘ইন্ডিয়া’। প্রধানমন্ত্রী বার্তা দেন –“Local goes global, make in India for the world “.
সেই ভিত্তিতেই স্মার্টফোন তৈরির ক্ষেত্রে এখন আর ভারতকে পুরোপুরি চীনের ওপর নির্ভরশীল থাকতে হচ্ছেনা।
নয়ডায় স্যামসাং-এর নির্মিত ফোনের মতোই অপ্পো, ভিভো , অ্যাপেলের মতো সংস্থাও নিজেরাই ফোন নির্মাণ করছে। ফলে চীনকে নির্মাণ ক্ষেত্রে টেক্কা দেওয়া তো বটেই, অন্য দেশে পণ্যদ্রব্য রপ্তানির ক্ষেত্রেও চীনের প্রতিযোগী হয়ে উঠছে ভারত। ‘ইন্ডিয়ান সেলুলার অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর পরিসংখ্যান তাই বলছে।