রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সাথে প্রতি সপ্তাহেই রাজ্যসরকারের নিত্যনতুন বিরোধ লেগে যায়। এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য অর্থাৎ চ্যান্সেলর পদ নিয়ে চরম দ্বন্দ্ব লেগে গেল শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সাথে।
২০ ডিসেম্বর ও ২৩ ডিসেম্বর, পরপর দুদিনই রাজ্যপালের ডাকে হাজির হননি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা। সেকারনেই প্রচন্ড ক্ষোভবশত পরের পর ট্যুইট করে রাজ্যপাল মন্তব্য করেন, ‘ভয়ঙ্কর ইউনিয়নবাজি’। পাশাপাশি ‘রাজ্যসরকারের ভয়েই উপাচার্যরা হাজির হচ্ছেননা’ বলেও দাবি করেন, পরে আবারো ট্যুইট করে লেখেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার ছবিটা ভয়াবহ। রাজ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও আচার্য বা উপাচার্য রাজ্যপালের কাছে এলেননা! শিক্ষাক্ষেত্রে আইনের শাসনের বদলে শাসকের শাসন চলছে।”
রাজ্যপালের এই একের পর এক ক্ষুব্ধ ট্যুইটকে অসহযোগিতার মনোভাব বলেই দেখছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনিও ট্যুইট করে জানান, “ঔপনিবেশিক রীতি মেনে রাজ্যপালকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য করার নিয়ম এখনও চালিয়ে যাওয়া উচিত নাকি বিশিষ্ট কোনো শিক্ষাবিদদের এই পদে মনোনীত করা যায়, তা এবার ভেবে দেখার সময় এসেছে।”
রাজ্যপালের সহযোগিতার বদলে সমানে ট্যুইটে ক্ষোভ জাহির করার তীব্র বিরোধিতা করে ব্রাত্য বসু আরো বলেন , “দিনের পর দিন ফাইল ধরে রাখে। বিন্দুমাত্র সহযোগিতার মনোভাব যদি না দেখান, তবে দরকার হলে আমরা আইনজ্ঞদের পরামর্শ নেব। অন্তর্বর্তী সময়কালের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য পদে বসানো যায় কিনা সেটাও ভেবে দেখা হবে। ”
ব্রাত্য বসুর এব বক্তব্যকে কটাক্ষ করেই বাগডোগরা থেকে প্রতিক্রিয়া দিয়ে জগদীপ ধনখড় বলেন, “শিক্ষামন্ত্রী বলছেন মুখ্যমন্ত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর করবেন। তার চেয়ে উনি ওনাকে (মমতাকে) রাজ্যপালই করে দিন। তাহলেই হয়তো শান্তি হবে!”