আর পাঁচটা সহজমানুষের সাথে আরো একবার মিশে গেলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন ছট উপলক্ষ্যে নিজের ভাষণে হিন্দিভাষীদের উৎসবকে নিজের করে নিয়ে আবারো ভারতীয় সংস্কৃতিকেই তুলে ধরলেন। বললেন, “আমিও ব্রত রাখি। সকাল থেকে শুধু চা খেয়ে আছি। গঙ্গাসাগরে এই পূজো হয়। সবার শান্তি হোক। আপনাদের সমাজ পরিবার গোটা দেশের কাছে এই কল্যাণ বার্তা দেওয়া হচ্ছে”।
ভারত বহু ভাষাভাষির দেশ। মঙ্গলবার ছটপূজোর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সেই বার্তাই দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘বিবিধের মাঝে মিলনের’ সম্প্রীতির উদাহরণ স্বরূপ তিনি বলেন, “ছটপূজো আমাদের কাছে বড় উৎসব। বাংলা ছটকে কম গুরুত্ব দেয়না “। প্রসঙ্গত যেহেতু ছট ২ দিন ধরে হয়, তাই এবছর ছট উপলক্ষ্যে ২ দিন ছুটির ঘোষণার করেছেন মমতা। সেই উল্লেখ করে বাংলার পূজোয় বৈচিত্র্যের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, “বাংলায় এখন প্রচুর গণেশ পূজো হয়। গঙ্গাসাগরে তিরিশ লক্ষ দর্শনার্থী আসে। গঙ্গাসাগরে এখন অনেক উন্নয়ন করেছি”।
গঙ্গাসাগরে নিজের উন্নয়নের নজির তোলার পাশাপাশি মোদীজিকেও হাল্কা খোঁচা দিয়ে বলেন,” কাজ করতে হলে আচ্ছে দিন বলে লাভ নেই”।
ছটপূজোয় যেহেতু মহিলারা সরাসরি অংশগ্রহণ করেন, তাই বাড়তি নিরাপত্তারও বন্দোবস্ত করেছেন মমতা। অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ ,”প্রশাসন ও পুলিশ সবাই আপনাদের সাথে আছে। পুলিশকে বলব মাইকিং করে যান। যাতে সবাই আস্তে আস্তে পূজো করে। সবাই একসাথে মিলে চলুন। আমি এখানে ২০ বছর ধরে আসছি। প্রতি বছরই আসতে ভালো লাগে। কাল ঠেকুয়া পাবেন”।
এদিনের ভাষণে উন্নয়ন ও সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে মমতা জানান, “আগে ঘাটগুলোতে আলো ছিলনা। এমপি ল্যাড থেকে সমস্ত জায়গায় ঠিক করার চেষ্টা করেছি। ১৩৮ টা ঘাট বানিয়েছি কলকাতায়”।
পরিশেষে সকলকে মঙ্গল কামনা জানিয়ে সরলমনে নিজের দুর্বল হিন্দি উচ্চারণের জন্যও ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।