যেন আক্ষরিক অর্থেই মাটির মানুষ। জেতাটা ফ্যাক্টর ছিল না, কাজ করার সুযোগ পাওয়াটাই আসল, ভোটে জেতার পরের দিনই কাজে নেমে সেটাই দেখিয়ে দিলেন তৃণমূল বিধায়ক সুব্রত মন্ডল।
গোসাবা অবশ্য তৃণমূলেরই জেতা আসন ছিল। বিধানসভা নির্বাচনের পরেই বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর কোভিড আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারান। যার ফলে গোসাবা কেন্দ্রে উপনির্বাচন করতে হয়। প্রার্থী হন সুব্রত মন্ডল, গতকালের ফলাফলে গোসাবায় ১ লক্ষ ৪৩ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছেন তিনি। আর সাথে সাথেই ঝাঁপিয়ে পড়েছেন এলাকা উন্নয়নের কাজে।
এদিন সকালবেলায় গোসবার বালি-১ ও বালি-২ এলাকায় বাঁধ পরিদর্শন করতে দেখা গেল তাঁকে। শুধু দেখলেনই না, রীতিমতো হাত লাগালেন নদীর বাঁধ মেরামতির কাজে। এই বাঁধই যে ঝড় বন্যা দুর্যোগ বিধ্বস্ত গোসাবার পরিত্রাণের উপায়, সেটা ভালোই জানেন এলাকার কাছের মানুষ সুব্রত। তাই সাতসকালে খোদ বিধায়ককে হাতের নাগালে পেয়ে স্বভাবতই ভীষণ খুশি এলাকাবাসী। উজাড় করে বললেন নিজেদের সমস্যার কথা। সমস্ত মন দিয়ে শুনলেন সুব্রত মন্ডল।
এবারের এজেন্ডাই ছিল গোসাবার নদীবাঁধ মেরামতি ও সংস্কার। যাতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত না হন পল্লীবাসী। এ প্রসঙ্গে ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে সুব্রত মন্ডল সংবাদ মাধ্যমে জানান, “আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্যই হল মানুষকে সুরক্ষা দেওয়া। তাই নদীর বাঁধগুলো কংক্রিটের করা প্রয়োজন। এছাড়া অনেক জায়গাতেই বাঁধের অবস্থা ভালো নয়। সেচদপ্তরকে দিয়ে সেগুলোর প্রয়োজনীয় সংস্কার এবং ছোট বাঁধগুলোর ক্ষেত্রে একশো দিনের কাজের প্রকল্পের মাধ্যমে মেরামত করার চেষ্টা করছি”।
দোর্দণ্ডপ্রতাপ বিধায়ক ছিলেন জয়ন্ত নস্কর, প্রবীন এবং অভিজ্ঞও বটে। তাই সুব্রত মন্ডলকে নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন একটা ছিলই, পারবেন কি জয়ন্তবাবুর মতো সমস্তদিক সামলাতে? কিন্তু জেতার পর প্রথম দিনেই নিজের আন্তরিকতা দিয়ে সংশয়ের মেঘ কাটিয়ে দিলেন তৃণমূলের জয়ী বিধায়ক সুব্রত মন্ডল।