বলেছিলেন, আমেরিকা বুঝতে পারছে এই প্রাণঘাতী হামলার পেছনে কারা। খুব শিগগিরই আমরা এর পাল্টা জবাব দেবো। ২৭ তারিখ এ কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেছিলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আবেগে ভিজে গিয়েছিল হোয়াইট হাউস। তার ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই কথাকে কাজে পরিণত করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
গত বৃহস্পতিবার কাবুলের হামিদ কারজাই বিমান বন্দরে বিস্ফোরণ ঘটায় আইএস জঙ্গিদের শাখা আইএস খোরাসান। বিস্ফোরণে ২০০রও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। যার মধ্যে ১৩ জন মার্কিন সেনাও রয়েছে বলে জানা যায়। আহতের সংখ্যাও প্রচুর। এই বিস্ফোরণও মূলত ছিল আত্মঘাতী। নিজের প্রাণ বিকিয়ে বহু মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়ার এই প্রথা নতুন নয়।
ওই আত্মঘাতী হামলার পরদিনই আইএস খোরাসানের বিরুদ্ধে ড্রোন হামলা চালানো হয়। প্রযুক্তি চালিত এই ড্রোন ঝড়ের বেগে খোরাসানের আইএস ঘাঁটিতে হামলা চালায়। পূর্ব কাবুলের নানগরহর প্রদেশে পাকিস্তান সীমান্তে ছিল এই ঘাঁটি। খোরাসান শব্দের অর্থ ‘সূর্য কোথা থেকে আসে’। ইতিহাসের বাঁকা পথে এই ঐতিহাসিক ঐতিহ্যপূর্ণ শহরে আজ বারুদের গন্ধ।
এই পাল্টা হামলায় বিস্ফোরণের আসল চক্র শেষ হয়েছে মনে করা হলেও তা নিছক অনুমান। আাগামী সাতদিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে বিপজ্জনক বলে সাবধান বার্তা দিয়েছে পেন্টাগন। আবারও আইএস জঙ্গি হামলার আশংকা রয়েই যাচ্ছে। তালিবানরা আফগানিস্তান দখলের পর আতঙ্কে নিজের নিজের দেশে ফিরতা চাইছেন সেখানকার মানুষজন। ফলে বিমান বন্দরে ভিড় জমছে।
তাই কড়া নিরাপত্তায় কাবুলের বিমানবন্দর ঘিরে ফেলছে মার্কিন সেনা। অপরদিকে তালিবান কমান্ডার একটি সংবাদ সংস্থাকে জানান, কাবুল বিমানবন্দর হানার ঘটদায় আইএস খোরাসানের কিছু সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।