শিয়ালদা স্টেশনের ২ টিকিট চেকারের (TTE)ব্যাগ থেকে লাখ খানেকের বেশি টাকা উদ্ধার করলেন রেলের ভিজিল্যান্স টিম। বেআইনি এই টাকার হদিশ পাওয়ার পরে ২ টিকিট চেকার সোয়েব রাজা ও প্রসূন বিশ্বাসকে চাকরির নির্দিষ্ট পদ থেকে চিরকালের জন্য বরখাস্ত করল রেল কর্তৃপক্ষ।
খবর সূত্রে জানা গেছে দিনের শুরুতে এন্ট্রির সময় টিকিট চেকার সোয়েব রাজার কাছে ১হাজার টাকা ছিল। তার ঠিক দুঘন্টা পরেই ভিজিল্যান্স আধিকারিকরা এসে সোয়েব রাজার ব্যাগ থেকে ১ লক্ষ ৫৩ হাজার টাকা উদ্ধার করেন। ঘটনাটি ১৮ নভেম্বর শিয়ালদা স্টেশনে ঘটেছে। পাশাপাশি এই দিনই অন্য এক সিনিয়র টিকিট চেকার প্রসূন বিশ্বাসের ব্যাগ তল্লাশি করে ৪৮ হাজার ৪৬৬ টাকা পাওয়া যায়। জানা গেছে ক্যাশ এন্ট্রির খাতায় তিনি ৫০০ টাকা আছে বলে লিখেছিলেন।
তারপরই এত অল্প সময়ে এই বিশাল অঙ্কের টাকা তারা কোথা থেকে পেলেন তার কোনও সঠিক প্রমাণ তারা দেখাতে পারেননি। লাগেজ স্কোয়াডে কাজ করছিলেন দুজনেই। এই প্রাপ্ত টাকা চোরাপথেই বেআইনিভাবে তাদের কাছে এসেছে এই মর্মেই পূর্ব রেলের কাছে রিপোর্ট পাঠাল ভিজিল্যান্স টিম। সাথে সাথেই ২ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।
হাওড়া-শিয়ালদার মতো বৃহৎ স্টেশনগুলোয় টিকিট চেকারদের অবৈধ উপায়ে টাকা উপার্জন নতুন কিছু নয়। বহুদিন ধরেই একদল অসৎ চেকার বুকিং বিহীন জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করার অছিলায় হাজার হাজার টাকা বেআইনি পথে উপার্জন করে আসছেন। এমনকি এই ছবি লুকিয়ে রাখার জন্য সিসিক্যামেরার মুখ পর্যন্ত উল্টো ডিরেকশানে ঘুরিয়ে রাখা হয়।
তবে বর্তমানে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এবং পূর্ব রেলওয়ের জিএম অরুণ অরোরার তত্ত্বাবধানে কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে ভিজিল্যান্স। যার নিদর্শন এই দুই টিকিট চেকারকে হাতেনাতে ধরেই দেখালেন ভিজিল্যান্স আধিকারিকরা। পাশাপাশি রেলযাত্রীদেরও সচেতন থেকে প্রতিবাদে এগিয়ে আসার আবেদন জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।