জুলাই মাসেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে দেখা করেছিলেন কবি ও গীতিকার জাভেদ আখতার। সেবার নিজেদের ‘খেলা হবে’ শ্লোগান নিয়ে একটা দুর্দান্ত গান লেখবার জন্য আবেদন করেছিলেন মমতা। তার ঠিক ৪ মাসের মাথায় আরো একবার সাক্ষাত, তৃণমূলের জাভেদ- প্রিয়তার দিকেই স্পষ্ট ইঙ্গিত করছে।
আজ দিল্লীতে সফরকালীন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আরো একবার দেখা করলেন জাভেদ আখতার ও কবিপত্নী শাবানা আজমী। উল্লেখ্য, এই দিনই প্রাক্তন ক্রিকেটার কীর্তি আজাদ তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। জল্পনা তৈরি হয়েছে সুধীন্দ্র কুলকার্নির সাথে মমতার সাক্ষাত নিয়েও।
বহুবার বহু বিতর্কিত ইস্যুতে বিজেপির সাথে সংঘাতে জড়িয়েছেন জাতীয় স্তরের কবি-গীতিকার জাভেদ আখতার। নিজের ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গী প্রকাশ করে তিনি দেখাবার চেষ্টায় করেছেন গোঁড়ামি ও সাম্প্রদায়িক হিংসার ক্ষেত্রে হিন্দু-মুসলিম দুপক্ষের মৌলবাদীরাই সমান। তালিবানরা আফগানিস্তান দখলের পর আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি বর্ণনা করতে গিয়ে জাভেদ আখতার সরাসরি বলেছেন, “যারা ইসলামরাষ্ট্র গঠন করতে চাইছে, আর যারা হিন্দুরাষ্ট্র তৈরিতে বদ্ধপরিকর, এদের মধ্যে আসলে কোনও তফাৎ নেই”। এই ধরনের মন্তব্যের জন্য আরএসএসের কোপের মুখেও পড়তে হয়েছে জাভেদ আখতারকে।
জুলাই মাসে মমতার সঙ্গে দেখা হওয়ার পরেই জাভেদ আখতার সারা দেশে রাজনৈতিক বদলের কথা বলেছিলেন। সরাসরি মমতার উল্লেখ না করলেও, বারবার দেখাসাক্ষাৎ ও নিজের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে ওই নাম তথা তৃণমূল কংগ্রেসের নামের সাথেই দুয়ে দুয়ে চার করতে চেয়েছেন অনেকে। আর এইদিন আরো একবার সেই জল্পনাই নতুনভাবে উস্কে উঠল।
পাশাপাশি এদিন মমতার সঙ্গে দেখা করেছেন সুধীন্দ্রনাথ কুলকার্নি, যিনি পুরোনো বিজেপি জমানায় অটল বিহারি বাজপেয়ীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন। শোনা যায় বাজপেয়ীজির বক্তৃতার খসড়া অনেক সময় তিনিই লিখে দিতেন।
পরবর্তীকালে লালকৃষ্ণ আডবানীর পরামর্শদাতাও ছিলেন সুধীন্দ্র। ২০১৯ সালে সম্পূর্ণ পাল্টি খেয়ে মোদীর বিরোধিতা করে রাহুল গান্ধীর সমর্থনে দাঁড়ান। সেই ব্যক্তি অর্থাৎ সুধীন্দ্র কুলকার্নির হঠাৎ মমতা দর্শনকে সরল চোখে দেখছেনা রাজনৈতিক মহলের অনেকেই। জাভেদ আখতার ও সুধীন্দ্র কুলকার্নি কি তবে যোগ দিতে চলেছেন ঘাসফুল শিবিরে? জল্পনা আরো জোরালো হচ্ছে।