২২শে আগস্ট সাউথ সিটি স্পেন্সার্স – এ আয়োজিত হয়ে গেল একটি অঙ্কন প্রতিযোগিতা। আয়োজক ছিল ‘ক্লাসমেট’(আইটিসি)। এতে অংশ নিল বাবা মায়ের হাত ধরে স্পেনসার্সে শপিং করতে আসা খুদে খুদে ছেলেমেয়েরা।
দিনটা ছিল রাখীবন্ধন । শপিং করতে এসে হঠাৎ ঘোষণা শুনে বেশ মজা পেয়েই দাঁড়িয়ে পড়লেন কাস্টমাররা।
না এদিন আর কোনো সেলিং অ্যাপ্রোচ নয় – বারোবছর বয়স পর্যন্ত বালক বালিকাদের ‘যেমন খুশি আঁকো’ প্রতিযোগিতার ঘোষণা। শুনেই খুদেরা ছুটে গেল ফ্লোরের দিকে। ঘিরে দাঁড়িয়ে উৎসাহ দিলেন অভিভাবকরাও। ‘আইটিসি’র এরিয়া ম্যানেজার মিস্টার সঞ্জয় ব্যানার্জি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে গোটা ইভেন্টটি পরিচালনা করলেন।
প্রথমটায় অনেকেই রাজি হচ্ছিলেন না কোভিডের ভয়ে।
অনুষ্ঠান , জমায়েত শব্দগুলোই মূলত ভীতির কারণ। শেষে ভলান্টিয়ারদের আন্তরিক অনুরোধ ফেলতে পারলেননা কেউ। স্বাস্থ্য বিধি মেনে, মাস্ক পরে নির্দিষ্ট দূরত্বে বসতে আর ভয় কিসের?
খুদে শিল্পীদের হাতের রঙ পেন্সিলের ছোঁয়ায় সাদা পাতায় ছড়িয়ে পড়ল রঙিন স্বপ্নরা। কেউ আঁকল বোনের ভাইকে রাখী পরানোর ছবি ‘হ্যাপি রক্ষা বন্ধন’। কেউ প্রকৃতিকে তুলে আনল নিজের কল্পনার পৃথিবী থেকে, ক্যাপশানে লিখল ‘নেচার ইজ্ ম্যাজিক্যাল’। তারিফে মেতে উঠল সবাই। শিশুদের স্বচ্ছ দেখার চোখ যে শত অন্ধকার মূহুর্তেও উজ্জ্বল, ক্লেদমুক্ত –তার সাক্ষী থাকল উপস্থিত প্রত্যেকেই।
প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিজয়ী ছাড়াও সব অংশগ্রহণকারীদের জন্যেই ছিল প্যাস্টেল, খাতা, পেনসেট সহ আকর্ষণীয় পুরস্কার।
২টো থেকে ৩:৩০ পর্যন্ত ডিপার্টমেন্টাল স্টোর জুড়ে তৈরি হয়েছিল সম্পূর্ণ এক অন্য পরিবেশ। দেড়ঘন্টার জন্য বেচাকেনার হাট পরিণত হয়েছিল সাংস্কৃতিক কর্মশালায়। চারপাশের বিধিনিষেধ ভরা দমবন্ধ পরিবেশেও মাঝে মাঝে টুকরো আনন্দগুলো যে কত প্রয়োজন , একে অপরের চোখে তাকিয়ে অস্বীকার করতে পারলনা কেউ।