সীমান্ত রক্ষা বাহিনী বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রথম থেকেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব মমতা। এবার নদীয়ার প্রশাসনিক সফরে এক সভামঞ্চ থেকে জেলাপুলিশকে এই ব্যাপারেই সতর্ক ভাবে রাশ টেনে ধরার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এর ফলে পুলিশের সাথে সামরিক বাহিনীর সংঘাত দেখা দিতে পারে বলেই মনে করছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সেই প্রসঙ্গ তুলেই মমতাকে চিঠি লিখে হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি।
সম্প্রতি প্রশাসনিক সভামঞ্চে নদীয়ার জেলা পুলিশের উদ্দেশ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “বাংলাদেশ বর্ডার আছে করিমপুর থেকে শুরু করে। আপনাদের সেগুলোর দিকে নজর রাখা দরকার। বিএসএফ যাতে এলাকায় ঢুকে আপনাদের অনুমতি ছাড়া কোনও ব্যাপারে জড়িয়ে না পড়ে সেটাও দেখতে হবে। মানুষের ওপর কোনও অত্যাচার হোক, এটা আমি কিছুতেই সহ্য করবনা!”
নিজের বক্তব্যে পরোক্ষে বিএসএফের ‘অত্যাচারের’ উল্লেখই করেছেন মমতা, পুলিশকে সতর্ক বার্তা দিয়েছেন যাতে নিজেদের ক্ষমতার এক্তিয়ার তাঁরা সামরিক বাহিনীর হাতে তুলে না দেন।
আর তারপরেই মমতার বক্তব্যের বিরোধিতা করে চিঠি লিখলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তিনি লেখেন,, “আপনার এই বার্তা জাতীয় সুরক্ষা এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ও জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে বিপজ্জনক।” রাজ্যপাল দাবি করেছেন বাংলাদেশ , নেপাল ও ভূটানের আন্তর্জাতিক সীমান্তে বেআইনি কাজকর্ম রুখতে বিএসএফের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে।
সীমান্তে কেন্দ্রীয় সামরিক বাহিনীর এলাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আরো একবার বিবেচনা করার আবেদন জানিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি এদিন নদীয়ার সভায় বিএসএফকে অভ্যন্তরীন ব্যাপারে ঢোকার সুযোগ না দিয়ে পুলিশকে অতিরিক্ত দায়িত্ব নিয়ে এলাকা প্রদক্ষিণ ও নাকাচেকিং বাড়ানোর কথা উল্লেখ করেন মমতা।
পাল্টা চিঠি লিখে, পুলিশ ও বিএসএফের সংঘাত না বাড়িয়ে একে অপরকে সহযোগিতার প্রয়োজন, এই সূত্রেই মমতার বক্তব্যের বিরোধিতা করে দ্বন্দ্বে জড়ালেন রাজ্যপাল।