উত্তপ্ত ত্রিপুরা। বিজেপি – সিপিএম সংঘর্ষ চরম রূপ নিল বুধবার। শাসক দলের তীব্র হিংসাত্মক চেহারা দেখলো গোটা রাজ্যবাসী। বিজেপির আক্রমনাত্মক মিছিল নিয়ে উঠল স্পষ্ট অভিযোগ।
আক্রমণ থেকে বাদ গেলনা সংবাদ মাধ্যমের অফিসও।
সিপিএম এর সাথে কয়েকদিন আগের এক বিবাদকে কেন্দ্র করে বুধবার একটি বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু এদিন সারাদিনে ওই বিক্ষোভ মিছিল কার্যত জায়গায় জায়গায় দাঙ্গাবাজির রূপ নেয়।
সিপিএমের দুটি প্রধান পার্টি অফিস দশরথ ভবন ও ভানু্ স্মৃতি ভবনে আগুন লাগিয়ে দেয় বিজেপি কর্মীরা। একই সাথে বিশালগড়ের পার্টি অফিসেও বুলডোজার দিয়ে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এমনকি দমকল ঢুকতেও বাধা দেওয়া হয়েছিল। শেষে পুলিশের সহায়তায় দমকলকর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রবল তান্ডব চালানো হয় সিপিএমের সাধারণ সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পার্থপ্রতীম মজুমদারের বাড়িতেও।
গেটের গ্রীল অ্যাসিড দিয়ে গলিয়ে আক্রমণকারী বিজেপি ক্যাডাররা জোর করে তাঁর বাড়িতে ঢুকে পড়ে এবং ভাঙচুর চালিয়েছে বলে অভিযোগ। এছাড়া প্রাক্তন মন্ত্রী রতন ভৌমিকের গাড়িতে আগুন জ্বালিয়েছে দুষ্কৃতকারী বিজেপি সমর্থকরা।
সিপিএমের বিরুদ্ধে নরমে গরমে পাল্টা আক্রমণের অভিযোগ আনলেও, প্রত্যক্ষ দৃশ্যগুলো বিজেপির দিকেই আঙুল তুলতে বাধ্য করে।
এই তান্ডবের আঁচ ছড়ায় রাজ্যের রাজধানী আগরতলায়। ‘প্রতিবাদী কলম ‘ নামে একটি ডেইলি নিউজ মাধ্যমের অফিসেও ভাঙচুর শুরু করে বিজেপি। সাংবাদিকদের মারধোর করে বাইকে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনায় আহত ৩ জন সাংবাদিকের মধ্যে ২ জনের অবস্থা গুরুতর।
সিপিএমের সমাবেশে লোকজন আবার সাড়া দিচ্ছে, ত্রিপুরায় ঘাঁটি পাকা করছে তৃণমূল কংগ্রেসও। স্বভাবতই আসন হারানোর ক্রমাগত ভয় বিজেপিকে মারমুখী করে তুলেছে। কিছুদিন ধরে তাদের আচরণে কথাবার্তায় সেগুলো ফুটে উঠছে। এদিন কি তারই ফলশ্রুতি ঘটল? গোটা ত্রিপুরা জুড়ে আগুন উল্লাস করে কি ক্ষমতার আস্ফালন করে দেখালেন তারা?
বিরোধী দলের প্রতি জঘন্য আক্রমণ এবং সংবাদ মাধ্যমের কন্ঠরোধ করার বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে তৃণমূল দল। সুস্মিতা দেব তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিজেপির এই ন্যক্কারজনক আচরণের তীব্র নিন্দা করেছেন।