সকাল পর্যন্ত ভোটপর্ব নির্বিঘ্নেই চলছিল। সকালে বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেয়াল একবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে বুথ জ্যাম করার অভিযোগ তুললেও কার্যত তা ভিত্তিহীন প্রমাণিত হয়।
বেলা দুপুর গড়াতেই আবার শুরু হল অশান্তি। এবার ভূয়ো ভোটার সন্দেহে একজনকে পাকড়াও করে আওয়াজ তুলল বিজেপি। বাদ- বিবাদ ক্রমশ হাতাহাতিতে পরিণত হয়।
দুপুুর ১:০০টার পরেই ভবানীপুরের খালসা হাইস্কুলে ভোট চলাকালীন হঠাৎ বিজেপি আওয়াজ তোলে ‘এখানে ভূয়ো ভোটার রয়েছে’। এক কথা দুকথা থেকে বিজেপি ও তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।
এছাড়াও ১৫১, ১৬০, ১৬২ ও ১৭২ নম্বর বুথে রিগিংয়ের অভিযোগ করা হয়েছে বিজেপির তরফে। শুধু বিজেপি নয় রিগিংয়ের অভিযোগ তুলেছে সিপিএমও।
অভিযোগের তীর সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিমের দিকে ছুঁড়ে কমিশনে নালিশ করেছে বিজেপি। শুধু তাই নয় ভোট চলাকালীন দুই নেতাকে ভবানীপুরের বাইরে আটকে রাখার দাবি করা হয়েছে। বিজেপির অভিযোগ অনুযায়ী পাড়ায় ঘুরে ঘুরে নাকি ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন ফিরহাদ হাকিম ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
যদিও মুখে বলা এই অভিযোগের মান্যতা দেননি নির্বাচন কমিশন। বিজেপির অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের নির্দেশ দিয়ে রিপোর্ট তলব করেছেন।
অপরদিকে ভবানীপুরের সাথে তুলনায় সরব হয়েছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি প্রশ্ন করেছেন,”শামসেরগঞ্জে বেশি ভোট পড়লেও ভবানীপুরে কম ভোট কেন?”
যথারীতি তাদের ওপর ওঠা অভিযোগ স্বীকার করেনি তৃণমূল কংগ্রেস।
ভবানীপুরে প্রসাশনিক ব্যবস্থা যথেষ্ট শক্তপোক্ত এবং নিরাপত্তা বেষ্টনিও যথেষ্ট মজবুত রাখা হয়েছে বলেই খবর সূত্রে প্রকাশ ।