ভবানীপুর উপনির্বাচনে হেভিওয়েট প্রার্থীর মতো চমক জাগানো এক ভোটারের নাম। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওই কেন্দ্রে এ বার ভোটার প্রশান্ত কিশোর। বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বিপুল জয়ে ভূমিকা ছিল প্রশান্তের সংস্থা আইপ্যাকের।
এ বার সেই প্রশান্তকে ভোট দিতে দেখা যেতে পারে ভবানীপুরে । যদিও বৃহস্পতিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর উপনির্বাচনের দিন প্রশান্তকে ভোটের লাইনে দাঁড়াতে দেখা যাবে কি না, তা এখন বলা সম্ভব নয়। তবে তৃণমূলের আশা, ওই দিন ভবানীপুরে দিদিকে ভোট দেবেন প্রশান্ত।
সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভবানীপুর কেন্দ্রের ভোটার তালিকায় প্রশান্তের নাম ওঠে । শনিবার তা প্রকাশ্যে এল। তাঁর ভোটার কার্ডে ঠিকানা মুখ্যমন্ত্রীর পাড়া কালীঘাটের পটুয়াপাড়া এলাকার। তবে বিধানসভা নির্বাচনের সময় ব্যস্ততার কারণে ভোট দিতে পারেননি প্রশান্ত।
শনিবার ভোটার প্রশান্তের নাম নিয়ে টুইট করে কটাক্ষ করেন বিজেপি-র মিডিয়া ইন-চার্জ সপ্তর্ষি চৌধুরী। প্রশান্ত-সহ তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে ট্যাগ করে লেখেন, ‘প্রশান্ত কিশোর ভবানীপুরের ভোটার!! বাংলার মেয়ে কি বহিরাগত ভোটার চায়!! কুণাল ঘোষ, জানতে চায় রাজ্যের মানুষ।’ তবে শনিবার রাতে এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার সময় পর্যন্ত তৃণমূলের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বিপর্যয়ের পর সে বছরে মমতার দলের পরামর্শদাতা হিসাবে কাজ শুরু করেন প্রশান্ত। তার পর ‘দিদিকে বলো’ বা ‘দুয়ারে সরকার’-এর মতো একাধিক প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারি পরিষেবা আম জনতার ঘরে পৌঁছে দেওয়া ছাড়া ‘বাংলার গর্ব মমতা’-র মতো প্রচারে মমতার ছবি তুলে ধরতে ভূমিকা নিয়েছে প্রশান্তের সংস্থা আইপ্যাক। বিধানসভা নির্বাচনে তার ফল ঘরে তুলেছেন মমতা। বিজেপি-কে ধরাশায়ী করে বিপুল ভোটে জিতে ক্ষমতায় এসেছেন মমতা।
এ বার সেই প্রশান্ত মমতার কেন্দ্রের ভোটার। তবে গত বার ভোট দিতে না পারলেও এ বার তিনি ভোট দেবেন ? ভবানীপুর বিধানসভা এলাকার তৃণমূল নেতার কথায়, ”প্রশান্ত কিশোর যে আমাদের বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটার হয়েছেন, তা দলীয় নেতা-নেত্রীরা সকলে জানেন। গত বিধানসভা নির্বাচনে তিনি ভোট দিতে পাতেননি। তবে আমাদের আশা, এই উপনির্বাচনে আমাদের প্রার্থী দিদিকেই ভোট দেবেন প্রশান্ত।”