দায়িত্ববদল হলেও খোশমেজাজে আছেন। রোজের রুটিন মেনেই মর্নিং ওয়াকে এলেন তবে আজকের দিনটা ব্যতিক্রম। বিদ্যাসাগরের জন্মদিনে সকালে কংগ্রেসকে বিঁধতে মমতার সুরে সুর মেলালেন দিলীপ ঘোষ । দিলীপের যুক্তি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপহাস করে কোনও লাভ নেই কংগ্রেসের ।
অন্তত শূন্যে ঠেকা কংগ্রেসকে এমন মানায় না। কারণ তাদের কোনও ভিত্তি নেই ।
আজ ইকোপার্কে এক সাংবাদিক দিলীপ ঘোষকে বলেন, অধীর চৌধুরী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটূক্তি করেন । দিলীপ ঘোষ জবাবে বলেন, “এসব কথা বলে লাভ নেই। কে জোকার! ওদের একটা এমএলএ নেই এত বড় পার্টি!”
উল্লেখ্য দিলীপ ঘোষ কয়েক দিন আগে অধীর চৌধুরীকে প্রকাশ্যে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। অধীর অবশ্য সেই আহ্বান উড়িয়ে দেন। তবে এদিন উলাটপুরাণ। যে সময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই কংগ্রেসকে কোনঠাসা করছেন সদলবলে, তখন সেই সুর মেলালেন দিলীপ ঘোষ ।
পর্যবেক্ষকরা জানেন , কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের যেটুকু ভেদ তার মূলে রয়েছে তৃণমূলের সঙ্গে অধীর চৌধুরীর তিক্ততা। এমনকী মাঝখানে শোনা গিয়েছিল, অধীর চৌধুরীকে লোকসভার দলনেতা পদ থেকে সরানো হতে পারে। অবশ্য ভরাডুবিতেও নিজের স্বভাবে অটল অধীর স্থান কমাননি এতটুকু । বরং পরিবর্তন যদি বলতে হয় তা হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কংগ্রেসের বিরুদ্ধে যাওয়ার প্রবণতার কথা। পর্যবেক্ষকরা বলছিলেন, এতে বিজেপির সুবিধে, জোটের সম্ভাবনা ভাঙতে পারে এতে। এবার সেই একই সুর মেলাতে দেখা গেল দিলীপ ঘোষকে । অর্থাত্ ঘা খাওয়া কংগ্রেসকে ডুবন্ত জাহাজ বলছে বিজেপি-তৃণমূল উভয়েই। প্রসঙ্গত সম্প্রতি জাগো বাংলার পত্রিকাতে বলা হয়েছে তৃণমূলই কংগ্রেসের উত্তরাধিকারের বাহক।