৪ কেন্দ্রের উপনির্বাচনেই ডাহা হেরেছে বিজেপি। তার মধ্যে খড়দা, গোসাবা ও দিনহাটায় প্রাপ্ত ভোট ১৫ শতাংশের নিচে হওয়ায় তিন কেন্দ্রেই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তবে এই ব্যাপক হারের পরেও হতাশ হননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বরং হেরে গিয়ে মমতা ব্যানার্জীর গুণগান শুরু করে দিয়েছেন।
তা কীকরে হয়? নিন্দুুকরা অন্য সম্ভাবনা দেখছেন। তারা বলছেন প্রবল শক পেলে ওরকম উল্টোপাল্টা অনেক কিছুই হয়! আবার কেউ কেউ বলছেন এটা বিজেপির সৌজন্য বোধ। সম্প্রতি বিধানসভায় সুজন চক্রবর্তীর সাথে শুভেন্দু অধিকারীর সৌজন্যমূলক একটি ক্লাস হয়েছে, এটা নাকি তারই সুফল! নিন্দুকরা অমন অনেক কিছুই বলে থাকে। মোটকথা এই, চার কেন্দ্রে পরাজিত হয়ে মমতাকেই প্রেরণা হিসেবে স্বীকার করে নিয়েছেন বিজেপির নব্য রাজ্যসভাপতি।
এদিন ভোট ফলাফলের প্রতিক্রিয়ায় সুকান্ত মজুমদার বলেন, “হতাশা বলে কিছু নেই। একসময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একা সাংসদ ছিলেন।সেখান থেকেই ক্ষমতা দখল করেছেন। মাত্র ২৯ জন বিধায়ক ছিল সেসময়। তার তুলনায় আমরা তো ভালো জায়গায় আছি”।
উল্লেখ্য, সুকান্তর এই বচনে ভুল কিছু নেই। ২০০৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে একাই জিতেছিলেন তৃণমূল সাংসদ মমতা। এরপর ২০০৬-এর বিধানসভায় তৃণমূলে মাত্র ৩০ জন বিধায়ক ছিল। এই সামর্থ্য নিয়েই ৩৪ বছরের বাম রাজত্ব টলিয়ে ২০১১ তে ক্ষমতায় এলেন মমতা। আর আজ রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের রাজ্য সভাপতির কাছে তিনি অনুপ্রেরণা স্বরূপ।
তবে প্রকাশ্যে না হলেও বিজেপি শিবিরের অন্দরমহলে গুঞ্জন শুরু হয় গেছে– আর কোনো উদাহরণ খুঁজে পেলেননা সুকান্ত? পেলেও মনে পড়েনি বোধহয়। স্বতঃস্ফূর্ত অনুভূতির প্রকাশ বুঝি একেই বলে!
তৃণমূল সুকান্তর এই প্রতিক্রিয়ায় ভীষণ খুশি। রাজ্যের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুসরণ করেই রাজনীতি করা উচিত এটা বিজেপি যে বুঝেছে সেটাই অনেক। এই বিলম্বিত বোধোদয়ের জন্য তৃণমূল কর্মীরা বিজেপি কর্মীদের মিষ্টিমুখ করাবে”।
রাজনীতির হাওয়া যে কখন কোনদিকে বয়! তা নির্ধারণ করাই নির্ধারকদের কাছে দিন দিন ঝকমারি হয়ে দাঁড়াচ্ছে।