ভারতের মোট জনসংখ্যা ১৩০ কোটিরও বেশি। এর মধ্যে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা সংখ্যা লঘুর তালিকায় পরেন। তবে দেশে ধিরে ধিরে এই জন সংখ্যা ব্রিধি পাচ্ছে। অসমে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রন রাখার ব্যাপারে যথেষ্ট গম্ভির অসমের মুখ্যমন্ত্রি হিমন্ত বিশ্ব শার্মা । তার এই নতুন পদক্ষেপ এয়া ভালো করেই বুঝিয়ে দিচ্ছে।
তাই তিনি জানান অসমে খুব শীঘ্রই আসতে চলেছে “পপুলেশন আর্মি” এই দলে থাকবে মোট ১০০০ জন সদস্য যারা রাজ্যের মুসলিম বহুল এলাকায় গিয়ে সেখানকার মানুষদের জন্মনিয়ন্ত্রনের ব্যাপারে বোঝাবে তথা এই গর্ভনিরোধক সঙ্ক্রান্ত সমস্ত রকম ঔষধ দেবে পাশাপাশি এই সব বিষয়ে মানুষ কে সচেতন করে তুলবে।
জন্মনিয়ন্ত্রন মানুষের জন্য এই সময় কত টা জরুরি এই নিয়েও কথা বলেন তিনি। তিনি জানান জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেলে রাজ্যে বাড়তে পারে বেকারত্বের সমস্যা পাশাপাশি অসমের মধ্য এবং পশ্চিমাঞ্চলের মুসলিম বহুল এলাকা বিপুল জনসংখ্যার সাথে নিরক্ষরতাও একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বহুমানুষ এমন আছেন যারা পরিবারের মানুষের সংখ্যা বেশি থাকার কারনে নিজের মাসিক আয় এর থেকে সংসার চালাতে পারে না ফলে তারা পরিবারের সদস্যদের পেট চালানোর জন্য জড়িত হয়ে পড়েন বিভিন্ন অপরাধ মূলক কাজে। আবার অনেকেই আছেন যারা কেরলে পালিয়ে যান এবং ওখানে গিয়ে পড়েন মানুষ পাচারকারী দের হাতে।
শুধু তাই নয় তিনি আরও বলেন ২০০১ থেকে ২০১১ অব্ধি হিন্দুদের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১০ শতাংশ সেই জায়গায় মুসলিমদের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২৯ শতকাংশ যা প্রায় হিন্দুদের চেয়ে তিনগুন বেশি। তিনি বুঝিয়ে বলেন যে কিভবে হিন্দুদের জন্মনিয়ন্ত্রনের ফলে তাদের জীবন উন্নত এবং সুন্দর আছে। তার বক্তব্য হিন্দুরা জন্মনিয়ন্ত্রন করর ফলেই তাদের জীবন বিলাসিতায় কাটাতে পাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন উন্নত শিক্ষা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বন্দোবস্তের পাশপাশি বাল্য বিবাহ শেষ করে ফেলতে হবে। এবং সাধারন মানুষ এই উদ্দ্যোগ টিকে কোনো ধর্মের বা রাজনিতীর সাথে যুক্ত না করে মানুষের সমস্যার সমাধান করা উচিত।এই কার্যে তিনি কংগ্রেস ও AIDUF এর কাছে সহযোগিতার হাত চান।
অসমের মুখ্যমন্ত্রি মতে জন্মনিয়ন্ত্র এর ফলে যদি জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ৫.৬ শতাংশ কমে আসলে এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলেই তিনি দাবি করেন। মুসলিম সংখ্যালঘুদের মধ্য দারিদ্রতা আর আর্থিক সমস্যার সমাধানের জন্য এই কাজ করা অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করেন তিনি। তবে অসমে বহু হিন্দু মানুষেরাও আছেন দরিদ্রতার রেখায় তবে কি তাদেরও জন্মনিয়ন্ত্রনের ব্যেপারে বোঝানো উচিত নয় কি!