পুরসভা নির্বাচনের আগের রাত থেকেই নিরাপত্তা বেষ্টনিতে ঘিরে ফেলা হয়েছিল সারা কলকাতা। ভোটের আগের দিনই আগ্নেয়াস্ত্র সমেত তারাতলায় ২ ব্যক্তিকে আটক করে নিজেদের সক্রিয়তা প্রমাণ করল পুলিশ।
ভোটের আগের রাতে বজবজ থেকে সড়কপথে গাড়িতে করে তারাতলায় আসছিল ধৃত ২ ব্যক্তি সৌমেন মালাকার ও নিশান চৌধুরী। তাদের তল্লাশি করে একটি সেভেন এমএম পিস্তল ও পাঁচ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। ভোটের আগের রাতে কলকাতায় আগ্নেয়াস্ত্র সমেত বাইরের এলাকা থেকে আগমনকে নাশকতামূলক ষড়যন্ত্রের আভাস বলেই মনে করছেন পুলিশ কর্তৃপক্ষ।
মূলত পরেরদিন নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই রাতের বেলায় নাকা চেকিংয়ের বন্দোবস্ত রাখা হয়েছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বজবজ থেকে তারাতলা হয়ে কলকাতা ঢোকবার ক্রসিংয়েই প্রতিটি গাড়ি থামিয়ে নাকা চেকিং চালানো হয়। কলকাতা পুলিশ ও রাজ্য পুলিশের এই যৌথ তল্লাশির ফলেই, দুষ্কৃতির ছক কষা এই দুই সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা গেছে।
কোন উদ্দেশ্যে ঠিক কী ধরনের পরিকল্পনা নিয়ে কলকাতায় আসছিল দুইজন? জানবার জন্য ধৃতদের লাগাতার জেরা করছে পুলিশ।
এদিকে গত রাত থেকেই শহরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। কলকাতা পুরনির্বাচন নির্বিঘ্নে সংঘটিত করতে ২৩,০০০ পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। ২০০ টি জায়গায় রয়েছে পুলিশ পিকেটিংয়ের ব্যবস্থা। তাছাড়া ১৮ টি স্পেশ্যাল টিম নিয়োজিত। ভোটের দিন সকালে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু ঝামেলার অভিযোগ উঠলেও বড়সড় কোনও গন্ডগোলের খবর পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, পুরভোটের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি জানিয়ে রাজ্য পুলিশের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকেই। গতরাতের নাশকতা প্রতিরোধে সক্রিয় ভূমিকা এবং আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, রাজ্যপুলিশ ও কলকাতা পুলিশের দক্ষতাকেই প্রমাণ করল বলা যায়।