পূজোর আগে ত্রিপুরায় ১৪৪ ধারা জারি করিয়ে মিটিং মিছিল নিষিদ্ধ করে নিজেই সে আইন ভেঙে সভা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। আইন সংক্রান্ত কটূক্তিও করেছিলেন–যে অভিযোগ তুলে মাথা ন্যাড়া করে প্রায়শ্চিত্ত করে দল ছেড়েছেন আশিস দাস। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ত্রিপুরায় মিছিল করকে দেওয়া হয়নি, এছাড়াও তৃণমূল কর্মীরা একাধিকবার আক্রান্ত হয়েছেন। এবার সেই বিপ্লব দেব সরকারকেই কড়া নির্দেশ দিল স্বয়ং সুপ্রিম কোর্ট–“কোনও রাজনৈতিক দলকে শান্তিপূর্ণ প্রচারে বাধা দেওয়া চলবেনা। প্রত্যেকের নিরাপত্তা প্রশাসনকে সুনিশ্চিত করতে হবে”।
পুরভোটের প্রচারে বাধা দেওয়া, একাধিকবার হামলার অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন তৃণমূলের সাংসদ সুস্মিতা দেব। যার ভিত্তিতেই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডি.ওয়াই.চন্দ্রচূড় ত্রিপুরার রাজ্য সরকারকে সতর্ক বার্তা দিলেন। একইসাথে ত্রিপুরার পুলিশ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছ থেকে হলফনামা দাবি করেছেন বিচারপতি।
এরপর তৃণমূল তথা বিরোধী দলের ওপর কোনরকম অশিষ্ট আচরণ ঘটলে তার দায় সরাসরি প্রশাসন ও বিজেপি সরকারের ওপরই বর্তাবে, তাতে আর সংশয় রইলনা। স্বভাবতই এই রায়ে অস্বস্তির মুখে পড়েছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। যদিও সেটা প্রকাশ না করে আদালতের রায়ের প্রশংসা করে বিজেপি নেতা নবেন্দু ভট্টাচার্য দাবি করেছেন, “ত্রিপুরায় আইনশৃঙ্খলা ঠিক আছে, সেই জন্যেই তৃণমূল প্রচার করতে পারছে, এবং প্রার্থী দিতে পেরেছে”।
অপরপক্ষে, আদালতের এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ প্রকাশ করছে ত্রিপুরার তৃণমূল শিবির।
সদ্য দলে ফেরত তৃণমূল নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে,”ত্রিপুরায় গণতন্ত্র বিপন্ন। সরকারের দেউলিয়াপনা সামনে এসে গিয়েছে”। স্বভাবতই আদালতের এই কড়া নির্দেশকে একরকম ‘গণতান্ত্রিক জয়’ বলেই মনে করছে ঘাসফুল শিবির।