টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুরুর দিকে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ চলাকালীনই ফেসবুকে একটি বার্তা দিয়ে মহম্মদ কাইফ লিখেছিলেন “নিজের সাফল্যে আনন্দ করুন, অন্যের পরাজয়ে নয়”।
সেই বার্তা যে ভারতীয় ক্রিকেটের অধিকাংশ সমর্থকদেরই মর্মে পৌঁছয়নি; পৌঁছালেও পাকিস্তানের ক্ষেত্রে এই মনোভঙ্গি প্রযোজ্য নয়, গতকালের ম্যাচ ফলাফলের প্রতিক্রিয়াতেই সেটা পরিস্কার।
বলা বাহুল্য, উল্লিখিত ওই প্রথম দিকের ম্যাচে পাকিস্তানের কাছেই হেরেছিল টিম ইন্ডিয়া। স্বভাবতই গতকালের ম্যাচে ভারতীয় সমর্থকরা অস্ট্রেলিয়াকেই সমর্থন করছিল। আর পাকিস্তান সেমি ফাইনালে ছিটকে যেতেই অপূরিত মনোবাসনা পূর্ণ হল, এই জয়ে ভারতের সমর্থকদের খুশি যেন ধরে রাখা যাচ্ছিল না। অবশ্যই এই ম্যাচে পাকিস্তান হারার ফলে খানিকটা প্রতিশোধ নেওয়া গেল বৈকি!
পরপর চারটে ম্যাচে তুমুল জয়লাভ করে যেন হাওয়ায় উড়ছিল পাকিস্তান টিম। ধরাকে সরা জ্ঞান করার মনোভাবও দেখিয়েছিল তারা। সুপার ১২-এ স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলতে নেমে রোহিত শর্মাকে ব্যঙ্গ করে বিকৃত অঙ্গভঙ্গি দেখিয়েছিলেন শাহিন আফ্রিদি।
পাকিস্তানের সেই অহঙ্কারই চুরমার করে দিল অস্ট্রেলিয়া। টার্গেট ১৭৭ রানের মধ্যে ৯৬ রান চলাকালীনই ৫ উইকেট পড়ে গেছিল অস্ট্রেলিয়ার। এই পরিস্থিতিতেই ব্যাটিংয়ে নামেন ওয়েড ও টোয়েনিস। দুরন্ত ব্যাটিং পারফরম্যান্সে তারা ধরাশায়ী করে দিলেন পাকিস্তানকে। তবে, মোড় ঘুরে যেতে পারত, যদি না হাসান আলি একটি ক্যাচ মিস না করতেন, এমনটাই মনে করছেন পাক অধিনায়ক বাবর আজম।
শাহিন আফ্রিদির বলেই ম্যাথিউ ওয়েড ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন যেটা মিস করেন হাসান আলি। এটাকে সোনালি সুযোগ হাতছাড়া বলেই ধরেছে পাকিস্তান টিম।
ফলত, অস্ট্রেলিয়ার কাছে পাকিস্তানের পরাজয় এবং টিম ইন্ডিয়ার চরম আনন্দ। সাধারণত যেমনটা হয়ে থাকে।