স্কুল

করোনা মহামারীতে বিধ্বস্ত দেশ । দ্বিতীয় ঢেউয়ের আক্রমণের পর সারা দেশ জুড়ে মৃত্যুর মিছিল দেখেছিল সকল ভারতীয় ; তারপর থেকেই অফিস হতে বাজার , মেট্রো হতে বাস সর্বত্রই বন্ধ করে দেয় সরকার । তবে বর্তমানে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় ধীরে ধীরে সব কিছু খোলা শুরু হয়েছে তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘ বহু মাস ধরে বন্ধ থাকায় ভবিষ্যৎ সংকটে লক্ষ লক্ষ ছাত্র-ছাত্রীদের ! এই পরিস্থিতিতে সরকারের প্রাথমিক লক্ষ্য সকল শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে স্কুল এবং কলেজ দ্রুত খোলার ব্যবস্থা করা । তবে বেশ কয়েকটি রাজ্যে স্কুল খোলার প্রক্রিয়া চালু করে দেওয়া হয়েছে এবং কেরল এর মতো রাজ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা করা হয়েছে ।

আমাদের বাংলার বুকে এখনো পর্যন্ত তালাবন্ধ স্কুল হতে কলেজের গেট । ফলে স্বভাবতই চিন্তায় পড়েছে পড়ুয়াদের অভিভাবকবৃন্দ আর এই পরিস্থিতির মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্কুল-কলেজ খোলার ব্যাপারে এই ঘোষণার আপনারও কপালে ভাঁজ ফেলবে ।

মমতা

কিছুদিন পর ভবানীপুর এবং আরো কিছু কেন্দ্রে নির্বাচন রয়েছে আর সেই নির্বাচনের জন্য একবালপুর এ নির্বাচনী সভায় উপস্থিত হয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে বক্তব্য রাখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । প্রথম থেকেই দিদি জানান , তাঁদের কাছে প্রথমে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য তাই এতদিন পর্যন্ত অনলাইনে ক্লাস এর ব্যবস্থা করে রাজ্য সরকার । তবে এবার যে পুজোর পর স্কুল খোলার কথা চিন্তা ভাবনা করছে সরকার , সেই ঘোষণা করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী । নির্বাচনী সভা থেকে তিনি ঘোষণা করেন , স্কুল পুজোর পর খুলতে পারে এবং এই বিষয়ে সরকার যে তোড়জোড় চালু করেছে সেই বিষয়ে জানান মুখ্যমন্ত্রী ।

তিনি জানান , স্কুল খোলার ব্যাপারে যেহেতু পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের দিক বিবেচনা করা একটি প্রধান এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার , তাই তাঁর সরকার এ বিষয়ে সকল গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে চলেছে । এছাড়াও তিনি বলেন , স্কুল ব্যতীত কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় গুলির ধীরে ধীরে খোলার কথা বিবেচনা করছে তৃণমূল সরকার । করোনা পরিস্থিতিতে স্কুল এবং কলেজ পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ কি হতে চলেছে কিংবা আদেও কবে থেকে স্কুল কলেজ খোলা রাজ্য সরকারের পক্ষে সম্ভব হবে , সেই দিকে তাকিয়ে বাংলার মানুষেরা ।