স্বামীর তৈরি ব্লাউজ পছন্দ হয়নি। সেই নিয়েই ঝগড়া, কথা কাটাকাটি। তারপরই একটা ঘরে গিয়ে দরজা আটকে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে আত্মহত্যা করলেন স্ত্রী! অবাক লাগলেও ৬ ডিসেম্বর এমনই ঘটনা ঘটল হায়দরাবাদের গোলনাকা তিরুমালানগরের অম্বরপেট এলাকায়।
আত্মহত্যার কারণ এবং তাকে কীকরে রোখা যায় এই নিয়ে মনোবিজ্ঞানীদের নিরন্তর পর্যালোচনা চলছে৷ অনেকের মতে আত্মহত্যা প্রবণতা (Suicidal Tendency ) এক মারাত্মক ঝোঁক। যার কাছে ছোট ছোট কারণও এতটাই বড় হয়ে দেখা দেয়, যার ফলে একজন ব্যক্তি নিজেকে হত্যা করার মতো মানসিক পর্যায়ে পৌঁছে যান, নিজেকে ফেরানো তাদের কাছে অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। এমনকি পারিপার্শ্বিক বন্ধনগুলোও তখন তুচ্ছ হয়ে যায়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে অবশ্য ব্যতিক্রম। পরিস্থিতির শিকার হয়েও অনেকে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। তবে উভয় ক্ষেত্রেই মানসিক অবস্থা সাময়িক ভাবে শূন্যস্থানে (Blank) চলে যায় বলেই বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
সম্প্রতি হায়দরাবাদের এই আশর্য ধরনের আত্মহত্যাকে কোন পর্যায়ে ফেলা যাবে সেটা রীতিমতো চিন্তার বিষয়।
শ্রীনিবাস পেশায় দর্জি। বিভিন্ন বাড়ি থেকে অর্ডার নিয়ে ব্লাউজ তৈরি করেই জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। খবর সূত্র বলছে শ্রীনিবাসের স্ত্রী বিজয়লক্ষী তার স্বামীকে একটা ব্লাউজ তৈরি করে দিতে বলেন। কিন্তু তৈরি করা সেই ব্লাউজের ডিজাইন স্ত্রীর পছন্দ হয়নি। সেই থেকেই ঝগড়া লেগে যায়, ঝগড়ার মূহুর্তে ঘরে ঢুকে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করে দেন বিজয়লক্ষী।
স্থানীয় সূত্র মারফত পুলিশ জানতে পেরেছে, এমন ঝগড়া অশান্তি প্রায়ই লেগে থাকত স্বামী স্ত্রীর মধ্যে। অশান্তির মূহুর্তে আলাদা ঘরে গিয়ে দরজা আটকে দেওয়ার ঘটনা আগেও ঘটত, আবার ঠিক হয়ে যেত কিছুক্ষণ পরেই। তাই আলাদা করে গুরুত্ব দেননি শ্রীনিবাস। নিজের মতোই কাজে বেরিয়ে গিয়েছিলেন।
ছেলেমেয়েরা স্কুল থেকে ফিরে ওই ঘরের দরজা বন্ধ দেখে ধাক্কা দিয়ে ডাকাডাকির পড়েও সাড়া না মেলায় খবর দেয় বাবাকে। খবর পেয়েই শ্রীনিবাস ছুটে আসেন। দরজা ভেঙে দেখেন, গলায় ফাঁস দিয়ে স্ত্রীর মৃতদেহ ঝুলছে।
এই তুচ্ছ কারণে এমন ঘটনা ঘটতে পারে! এটা বিশ্বাস করা কঠিন। আত্মহত্যার আগে কোনও সুইসাইড নোট রেখে যাননি বিজয়লক্ষী। এই ঘটনার পেছনে আর অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।