প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল হেলথ মিশন গোটা দেশ জুড়ে শুরু হতে চলেছে। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর এই প্রকল্পের সূচনা করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজিয়ে উন্নত পরিকাঠামো গড়ে তোলা এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। শুধু তাই নয়, বলা হচ্ছে, সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে স্বাস্থ্য পরিষেবা গ্রাহক এবং চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগও হয়ে উঠবে সুবিধাপূর্ণ।
রোগী ও চিকিৎসকের যোগাযোগকে এক কেন্দ্রীয় ব্যবস্থায় আনতে যেটা সবচেয়ে জরুরি তা হল রোগীর পরিচয়পত্র, অর্থাৎ হেলথ কার্ড। এই হেলথ কার্ডে দেওয়া থাকবে রোগীর ব্যক্তিগত বিবরণ, রোগের বর্ণনা সহ বিশদ বিবরণ। আগে কোথাও চিকিৎসা করিয়েছিলেন কিনা, হলে কোন পদ্ধতিতে কোথায়, সেসবও ওই ডিজিটাল কার্ডেই দেওয়া থাকবে। ফলে রোগীর রোগ নির্ণয়ও হয়ে উঠবে আরও সহজ ও চটজলদি।
হেলথ কার্ডের মাধ্যমে রোগীর সাথে চিকিৎসা ব্যবস্থার এই পদ্ধতিকেই ‘কেন্দ্রীকরণ’ বলা হচ্ছে। যার ফলে রোগীর রোগ ও চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য নথিভুক্ত করা যাবে সহজেই।
এখানে একটা সংশয় থাকতে পারে সেটা হল তথ্য বাইরে প্রকাশ হয়ে যাওয়ার ভয়। তবে ভয়ের কোনো কারণ নেই বলছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রক। কেননা, এই কার্ড একজন ডাক্তার একবার মাত্রই অ্যাকসেস করতে পারবেন। দ্বিতীয়বার অ্যাকসেস করতে গেলে সেটা আপনার হস্তক্ষেপ ছাড়া সম্ভব নয়। সুতরাং প্রাথমিক ভাবে এই তথ্য নথিকরণ সুরক্ষিত থাকবে, ধরে নেওয়া যায়।
একজন ব্যক্তি আধার কার্ড বা মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে এই কার্ড চালু করতে পারবেন। এই স্মার্ট ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি হেলথ কার্ডে রোগ সংক্রান্ত সব তথ্যই স্টোর থাকার ফলে, একগাদা সার্টিফিকেট, রিপোর্ট ইত্যাদি বহন করতে হবেনা। এমনকি দেশের বাইরে চিকিৎসা করাতে গেলেও শুধুমাত্র ওই কার্ডটি বহন করলেই চলবে। হেলথ কার্ড ছাড়াও যুক্ত হচ্ছে ডিজিটাল মেডিসিন পরিষেবা, যার ফলে ওষুধ পাওয়ার প্রক্রিয়াও হয়ে উঠবে সহজতর।
ইতিমধ্যেই চন্ডীগড়, আন্দামান, লাক্ষাদ্বীপ, পুদুচেরি প্রভৃতি অঞ্চলেএই প্রকল্প চালু করা হয়েছে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী এর বিশদ বিবরণ পেশ করবেন।