পূর্বনির্ধারিত মতেই ৩রা সেপ্টেম্বরের সকাল থেকেই শুরু হল ভোট গণনা। ভবানীপুর এবং মুর্শিদাবাদের শামসেরগঞ্জ ও জঙ্গীপুর এই মোট ৩ কেন্দ্রের ভোট গণনা আজ।
ফোকাস ভবানীপুর কেন্দ্রেই, কেননা স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘প্রেস্টিজ’ জড়িয়ে এই লড়াইয়ে। স্বভাবতই উত্তেজনা তাই ভবানীপুরেই বেশি। মমতা ব্যানার্জীর বিপরীতে বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেয়াল ও সিপিএম প্রার্থী শ্রীজিব বিশ্বাস লড়ছেন। সর্বমোট ৫৭.০৯ শতাংশ ভোট পড়েছে ভবানীপুর কেন্দ্রে।
আজ সেই ভোটের গণনা আরম্ভ হল সকালেই।
খবর সূত্র অনুযায়ী ভবানীপুর কেন্দ্রে মোট ২১ রাউন্ড গণনা হবে , এবং শামসেরগঞ্জ ও জঙ্গীপুরে যথাক্রমে ২৪ ও ২৬ রাউন্ড গণনা হবে।
সকাল থেকেই কড়া নিরাপত্তায় ঘেরা ভবানীপুরের ভোট গণনা কেন্দ্র শাখাওয়াত মেমোরিয়াল স্কুল। গণনাকেন্দ্রের ২০০ মিটার এলাকা জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করা রয়েছে।
আর কোনো দলের প্রতিনিধিদের এদিন গণকেন্দ্রে দেখতে না পাওয়া গেলেও, বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেয়াল এসেছিলেন বলেই খবর। দলের কর্মীদের সাথে গণনাকেন্দ্রের পরিস্থিতি পরিদর্শন করে চলে যান তিনি।
ওদিকে মুর্শিদাবাদের শামসেরগঞ্জ ও জঙ্গীপুরের ভোটগণনাও শুরু হয়ে গেছে জঙ্গীপুর পলিটেকনিক কলেজের অভ্যন্তরে।
এখনো পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী ভবানীপুরের তৃতীয় রাউন্ডের গণনা শেষে ৬,১৪৬ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন মমতা ব্যানার্জী।
ওদিকে দ্বিতীয় রাউন্ডের গণনা শেষে শামসেরগঞ্জে ২,৩০০ ভোটে এগিয়ে তৃণমূল প্রার্থী আমিরুল ইসলাম।
ভবানীপুরে মমতা ব্যানার্জীর জয় সম্পর্কে একরকম নিশ্চিত হয়েই রয়েছে তৃণমূল শিবির। শামসেরগঞ্জ ও জঙ্গীপুরেও বিজেপির যথেষ্ট সাংগঠনিক জোর না থাকায় জয় নিয়ে সংশয়ী গেরুয়া শিবির। আপাতত সবার দৃষ্টি তাই ভবানীপুরের দিকে। প্রতিটি রাউন্ডের গনণায় উত্তেজনা বাড়ছে চড়চড়িয়ে। কেননা চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার আগে পর্যন্ত নিশ্চিত ভাবে জয় পরাজয় সম্পর্কে কিছুই জোর দিয়ে বলা সম্ভব নয়। রাজনৈতিক মহল সহ জনগণ তাই চরম ফলাফলের আশায় ভবানীপুরের দিকে তাকিয়েই প্রহর গুণছেন একটাই প্রশ্ন নিয়ে — পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী পদে বাংলার মেয়ে মমতা ব্যানার্জীই থাকছেন তো?