১৯ ডিসেম্বরই কলকাতায় পুরনির্বাচন ঘোষিত হয়ে গেছে। সে হিসেবে ১ তারিখেই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার চূড়ান্ত দিন। তৃণমূল ও বামেরা ইতিমধ্যেই প্রার্থী নির্বাচন একরকম শুরুই করে দিয়েছে, অথচ এখনও অবধি প্রার্থী ঘোষণা করছেনা বিজেপি। শুধু তাই নয়, পুরনির্বাচন নিয়ে বিজেপির কেমন যেন গা ছাড়া মনোভাব লক্ষ্য করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
বিজেপি শিবিরের কর্মীদের মধ্যেই জনৈক ব্যক্তি এক বৃহত্তর সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন , “বিধানসভা নির্বাচনের পরবর্তী যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি তাতে কলকাতায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়া কঠিন। তাই পুরভোটে শক্তির অপচয় করে লাভ হবেনা বলেই খুব বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেনা দল। বরং যেসব ওয়ার্ডে শক্তি রয়েছে সেখানেই লড়বার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে”।
এবিষয়ে কী বলছেন দলের রাজ্যসভাপতি? বালুরঘাট থেকেই সংবাদমাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন, “কৃষি আইন সংশোধনের ব্যাপারে বিল আসতে চলেছে, ফলে সোমবারই লোকসভা চলে যেতে হচ্ছে “। এর মধ্যেই প্রার্থী বাছাই হয়ে যাবে বলেছেন তিনি।
সুতরাং সোমবারের আগে প্রার্থী ঘোষণা করছেনা বিজেপি। কিন্তু এত দেরি কেন? সুকান্ত মজুমদারের মতে, “আচমকা ভোট ঘোষণা হয়ে যাওয়ায় আমরা এখনও সব চূড়ান্ত করে উঠতে পারিনি। গোটা রাজ্যেই একসাথে পুরনির্বাচন চেয়েছিলাম আমরা। কিন্তু শুধু কলকাতার জন্য এভাবে একতরফা নির্বাচন ঘোষণায় শাসক দলের উদ্দেশ্য স্পষ্ট”।
অর্থাৎ শুধু কলকাতার পুরনির্বাচনে নির্বাচনে আত্মবিশ্বাস বড় একটা নেই বিজেপির, সুকান্ত মজুমদারের কথায় পরোক্ষভাবে হলেও সেটা প্রকাশ পেয়েছে। অন্যান্য জায়গায় যে তাঁরা আশাবাদী সেটাই বোঝা যাচ্ছে।
তাছাড়া, কলকাতার পুরভোটের দিন ঘোষনা করলেও, হাইকোর্টে বিজেপির করা মামলার চূড়ান্ত শুনানি এখনও হয়নি, সোমবার হবে। তাই কি সোমবার পর্যন্ত প্রতীক্ষা জিইয়ে রাখতে চাইছে পদ্মশিবির?
উল্লেখ্য, সমস্ত রাজ্যেই একসাথে পুরভোট করানোর দাবি নিয়েই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। এই প্রশ্নে একরকম সম্মতি জানিয়েই সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, “সোমবার আদালত কী বলে সেটা দেখার পরেই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে। তবে তার আগেই তা তৈরি হয়ে যাবে”। জানিয়েছেন তিনি।
আদালতের সিদ্ধান্তে বড়সড় কোনও বদল না ঘটলে সুকান্ত মজুমদারের অনুপস্থিতিতেই প্রার্থী ঘোষণা করা হবে, কেননা তখন তিনি দিল্লীতে থাকবেন।