উত্তরপ্রদেশ সহ পাঁচ রাজ্যে নির্বাচন আসন্ন। ঠিক সেই সময়েই স্কুল-কলেজে মুসলিম মেয়েদের হিজাব পরা নিয়ে আপত্তি তুলেছে কট্টরপন্থি হিন্দুত্ববাদীরা। সম্মুখের ভোট বৈতরণী পার হবার জন্যই এটা একটা কৌশল বলে মনে করছেন অনেকেই। তবে বাস্তবে ঘটেছে উল্টোটাই। মনোযোগ কেড়ে নিয়েছেন বোরখা পরিহিতা প্রতিবাদী ছাত্রী মুসকান।
সারা দেশের বিদগ্ধ মহলের একাংশ গলা চড়িয়েছেন এই মেয়েটির সমর্থনে। ইতিমধ্যেই সাহসিনী মুসকানকে ৫ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেবার ঘোষণা করেছে জমিয়ত উলেমা-এ-হিন্দ সংগঠন। সবচেয়ে বড় কথা RSS-এর মুসলিম শাখা সমর্থন করেছে মুসকানকে!
এই পরিস্থিতিতে সাহারানপুরের সভা থেকে সংখ্যালঘু মুসলিম মহিলাদের পাশে দাঁড়ানোর জোর গলায় দৃষ্টান্ত তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
“মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য লাগাতার কাজ করে গেছে বিজেপি সরকার। সেইজন্যেই তারা বিজেপিকে সমর্থন করছেন।” এই সংখ্যালঘু সমর্থনের ফলেই বিরোধীরা ঈর্ষান্বিত হয়ে উঠেছে! এমন উল্লেখও মোদী-কন্ঠে ধ্বনিত হয়েছে। নরেন্দ্র মোদী স্মরণ করিয়ে দেন, “তিন তালাক প্রথা আইনত রোধ করে মুসলিম মহিলাদের পাশে দাঁড়িয়েছে বিজেপি সরকার।”
এসবই কি কর্ণাটকের পরিস্থিতিকে প্রগতিশীল আখ্যা দেওয়ার বিরুদ্ধ চেষ্টা! সংশয় দেখা দিয়েছে একাংশের মনে। তিন তালাকের মতোই বোরখা, হিজাব থেকে মুক্তি দেওয়াটাই কি উদ্দেশ্য? যদি তাই হয়, একপাল ‘হুলিগান’ লেলিয়ে দিয়ে একলা একটি মেয়েকে ঘিরে ধরে ‘রাম নাম’ শুনিয়ে, কানের পোকা নাড়িয়ে তাকে কার্যত বলতে বাধ্য করা –‘আল্লাহু আকবর!’ এটা কোন ধরনের প্রগতিশীলতার লক্ষণ? তাহলে এমন করেই কি অতীতের বহু দাঙ্গা সংঘটিত হয়েছে?এই প্রশ্নটা ভারতের বুদ্ধিজীবি মহলের অনেকেই করছেন।