আগেও বর্ধমানের একটি বাসে তাজাবোমা উদ্ধার করেছিল পুলিশ। এবার প্রজাতন্ত্র দিবসের আগের দিন বর্ধমানগামী একটি বাস থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হল। কড়া প্রহরায় বিধ্বংসী ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করল পুলিশ। অস্ত্রসমেত বর্ধমানের যাত্রীবাহী বাসে ধরা পড়ে ২জন দুষ্কৃতী। যাত্রীসাধারণের সঙ্গেই মিশে ছিল তারা। যাত্রীদের সাথে কথা বলতে গিয়েই পুলিশ এই দুই ব্যক্তিকে সন্দেহ করে। এরপর তাদের ব্যাগে তল্লাশী চালাতেই একেবারে বমালসমেত ধরা পড়ে যায়।
প্রজাতন্ত্র দিবসের ঠিক প্রাক্কালে অস্ত্র নিয়ে তারা কোথায় যাচ্ছিল সেটাই জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ কর্তৃপক্ষ।
এবারের প্রজাতন্ত্র দিবসে নাশকতামূলক ঘটনার সতর্কবার্তা থাকায় জেলায় জেলায় নিরাপত্তা কঠোর করেছে প্রশাসন। সেই সূত্রেই প্রতিটি বড় সড়কে নাকা চেকিংয়ের বন্দোবস্ত রাখা হয়েছিল। কালনার এসডিপিও সপ্তর্ষি ভট্টার্য জানিয়েছেন, “গোপন সূত্রে খবর এসেছিল। সেই অনুযায়ীই মঙ্গলবার বর্ধমানগামী বাসে অস্ত্র মেলে।”
পূ্র্ববর্ধমানের পূর্বস্থলীর ১ নম্বর ব্লকে হেমায়েতপুরে প্রতিটি চলন্ত বাস থামিয়েই চেকিং চালানো হচ্ছিল। এখানেই একটি বাস থেকে অস্ত্রসমেত দুই ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। তাদের একজন ডোমকলের শাহাজাদা গ্রামনিবাসী কুতুবউদ্দিন মন্ডল, আর অপরজন মনসুর মন্ডল , নাদনঘাটের অধিবাসী। এই দুই ব্যক্তির কাছ থেকে ২টি ওয়ান শটার, ৩টি পাইপগান সাথে ক্যাশ টাকা ও ২টি মোবাইল ফোনও উদ্ধার করা হয়। মোবাইল ফোনদুটি থেকে মূলচক্রীদের সন্ধান মিলতে পারে, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
এই অস্ত্র উদ্ধারের ফলে বড়সড় নাশকতার ষড়যন্ত্র বাঞ্চাল হলেও, আসানসোলের পুরসভা ভোট নিয়ে চিন্তিত প্রশাসন। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, এই অস্ত্র আসানসোলেই পাচার করা হচ্ছিল।