বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-র ওয়েবসাইটে থাকা মানচিত্র নিয়ে সম্প্রতি বিতর্ক তুঙ্গে উঠল। তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বিষয়টি প্রথম সামনে এনেছেন। তিনি মানচিত্রের একটি বিরাট ভ্রান্তি তুলে ধরে দেখান, WHOর মানচিত্রে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখকে বিচ্ছিন্ন করে দেখানো হয়েছে। আরো আশ্চর্যের হলো, করোনা সংক্রান্ত রিপোর্ট পাওয়ার জন্য জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখের চিহ্নিত অংশটিতে ক্লিক করলে পাকিস্তান ও চিনের করোনা তথ্য দেখানো হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে গোলযোগ তৈরি হয়েছিল গতবছরেই, ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসেই WHO তাদের ওয়েবসাইটের মানচিত্রে ভিন্ন রঙে আলাদাভাবে দেখিয়েছিল জম্মু-কাশ্মীর। তখনই সমালোচনার ঝড় ওঠে। এই ভ্রমটি সংশোধন করার কথা বলে থাকলেও, তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন লক্ষ্য করেছেন এখনও পর্যন্ত সেই ভুল রয়েই গেছে। তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অফিসিয়ালকে মেনশন করে ট্যুইটে জানিয়েছেন, “WHO-র ওয়েবসাইটের ভারতের ম্যাপে ভিন্ন রঙ ব্যবহার করে দেখানো হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরকে! তার মধ্যে আরো একটি ছোট্ট অংশ চিহ্নিত রয়েছে।”
শান্তনু সেন যে ছোট্ট অংশটির উল্লেখ করেছেন সেখানে আরো বড় গন্ডগোল। জম্মু ও কাশ্মীর সংলগ্ন ওই অংশে ক্লিক করলে দেখিয়ে দেওয়া হচ্ছে পাকিস্তান ও চিনের করোনা সংক্রান্ত রিপোর্ট!
করোনা সংক্রান্ত পরিস্থির অবস্থান চিহ্নিত করতে মানচিত্রে বিভিন্ন কালার কোড ব্যবহার করেছে WHO. সেই অনুসারে ভারতের রঙ নীল, কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার সেখানে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখকে অ্যাশ কালারে দেখানো, তার মধ্যেব ছোট্ট অংশটি অ্যাশ কালারের ওপর নিল স্ট্রাইপ। যেখানে ক্লিক করলেই পাকিস্তান ও চিনের আকসাই সংক্রান্ত করোনার তথ্য দেখিয়ে দেওয়া হচ্ছে!
তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের পাশাপাশি রায়বেরেলির AIMS হাসপাতালের এক বাঙালি ডাক্তারও এই প্রশ্নে সরব হয়েছেন। বিষয়টি নজরে আসতেই সোচ্চার হয়েছে বিজেপিও। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের মতে, “এটা পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। যেভাবে ভারত কোভিড পরিস্থিতির মোকাবিলা করছে, তা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অনেকেই মেনে নিতে পারছেনা। ভারত সরকারের অবিলম্বে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”