পরিবারবাদ এখন আক্ষরিক অর্থেই বাদ। সম্প্রতি এই উদ্যোগে আরও অগ্রসর হয়ে পদক্ষেপ নিলেন ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর বাসভবন যা সাধারণভাবে নেহেরু মিউজিয়াম বলে চিহ্নিত ছিল, সেই বাসভবনকেই ‘প্রধানমন্ত্রী সংগ্রহশালা’ করে তুললেন মোদী। এবার নেহেরু একা নয়, স্বাধীনতা পরবর্তী ভারতে যে ১৪ জন প্রধানমন্ত্রী এসেছেন তাঁদের প্রত্যেকেরই নিদর্শন স্থান পেল এই সংগ্রহশালায়।
আম্বেদকর জয়ন্তীতে ‘প্রধানমন্ত্রী সংগ্রহশালা’ উদ্বোধন করে নরেন্দ্র মোদী বলেন, “নতুন প্রজন্ম যে স্বাধীনতা উপভোগ করছে, কষ্টে অর্জিত সেই স্বাধীনতার মাহাত্ম্য, তথ্য ও সত্যোপলব্ধিকে তাঁদের সামনে তুলে ধরতেই এই প্রচেষ্টা।”
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, “এটা ভারতবাসীর কাছে গর্বের, এদেশে যাঁরা প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন তাঁদের অধিকাংশই নিচুতলার থেকে উঠে এসেছেন। তাঁদের মধ্যে কেউ প্রান্তিক অঞ্চলের মানুষ, কেউ খুব গরীব আবার কেউ কৃষকের সন্তান। তা সত্ত্বেও তাঁরা ভারতের প্রধানমন্ত্রীত্বে আসীন হয়েছেন। এটাই ভারতীয় গণতন্ত্রের সুফল।”
জওহরলাল নেহেরুর মৃত্যুর ১৬ বছর পর তাঁর বাসভবনটি নেহেরু মিউজিয়াম হিসেবে গড়ে ওঠে। এখানেই প্রশ্ন তোলেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও এদিন সরাসরি গান্ধী পরিবারকে কিছু বলেননি প্রধানমন্ত্রী মোদী, তবে প্রসঙ্গক্রমে পরিবার তন্ত্রের প্রসঙ্গটি এসেই পড়েছে। শুধু নেহেরুই তো প্রধানমন্ত্রী হননি। পরবর্তী যাঁরা প্রধানমন্ত্রীত্বে এসেছেন তাঁদের সম্পর্কেও তো মানুষকে জানানো উচিত। সেই উদ্দেশ্য নিয়েই তৈরি এই নবনির্মিত সংগ্রহশালা।
নেহেরু এবং তাঁর পরবর্তীকালের ১৪ জন প্রধানমন্ত্রীর জীবনের বিভিন্ন অধ্যায়ের ছবি, তথ্য, গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার নিদর্শন তুলে ধরা হয়েছে এই মিউজিয়ামে। নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, ভবিষ্যতের প্রধানমন্ত্রীদের নিদর্শনও এখানে স্থান পাবে।
৪৩ টি আর্ট গ্যালারি সম্বলিত , পুরোনো ভবন ও নতুন নির্মিত অংশ মিলিয়ে প্রায় ১৫,৬০০ স্কোয়্যারফিট এলাকা নিয়ে ‘প্রধানমন্ত্রী সংগ্রহশালা’ তৈরি করতে মোট খরচ হয়েছে প্রায় ২৭১ কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রীদের ছবি, ব্যবহৃত জিনিসপত্র, তথ্যের বিবরণ ছাড়াও অত্যাশ্চর্য প্রযুক্তির অডিও ভিস্যুয়াল মাধ্যম ব্যবহার করা হয়েছে এই সংগ্রহশালায়।